কিছুক্ষণ পরেই দৈত্য তাকে একটা বিশাল বিছানা দেখিয়ে সেখানে শুয়ে পড়তে বলল।

কিছুক্ষণ পরেই দৈত্য তাকে একটা বিশাল বিছানা দেখিয়ে সেখানে শুয়ে পড়তে বলল।

Author:
Price:

Read more

কিছুক্ষণ পরেই দৈত্য তাকে একটা বিশাল বিছানা দেখিয়ে সেখানে শুয়ে পড়তে বলল। বিছানাটা দরজির তুলনায় অনেক বড়। তাই সে বিছানা থেকে নেমে ঘরের এক কোণে গিয়ে কার্পেটের ওপর ঘুমিয়ে পড়ল।
মধ্যরাতে দৈত্য ভাবল দরজি নিশ্চয় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাই সে একটা বড় ভারী লোহার রড নিয়ে বিছানার উপর এলো-পাথাড়ি চালাতে লাগল। তারপর দরজি মরে গেছে ভেবে চলে গেল।
ভোর হলে দৈত্যরা জঙ্গলে বেরিয়ে গেল। তখন দরজির কথা ভুলেই গেল।
তারপর ফিরে এসে হাসি খুশি দরজিকে দেখে তারা চমকে উঠল। তারা ভাবল এবার দরজি তাদের মেরে ফেলবে। তাই তারা পিছন ফিরে দৌড় লাগাল। আর ফিরে এল না। দরজি দৈত্যদের ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা নাক বরাবর চলতে লাগল। কয়েক ঘন্টা হাঁটার পর সে এক রাজপ্রাসাদের বাগান চত্বরে পৌঁছাল। ক্লান্ত বোধ করায় সে সেখানেই শুয়ে পড়ল এবং ঘুমিয়ে গেল।
যখন সে ঘুমিয়ে তখন রাজ্যের অনেক লোক তাকে দেখল। তারপর তারা চারপাশে ভাল করে খুঁটিয়ে দেখছিল। তাদের নজর গেল কোমর বন্ধের দিকে। সেখানে লেখা – ‘এক থাপ্পড়ে সাত সাবাড়’। এ দেখে সবাই বলাবলি করতে লাগল এই শান্তির সময় এ রকম মহাবীর যোদ্ধা এখানে কেন?
তাই তারা রাজার কাছে গেল। অনেকে ভাবল হয়ত বা যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছে। রাজা তার সভাসদদের সাথে আলোচনা করে একজন দূতকে পাঠালেন দরজিকে রাজসৈন্য দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে।
দূত এসে যতক্ষণ না দরজির ঘুম ভাঙে ততক্ষণ অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকল। দরজি চোখ খুলে উঠে বসলে পর দূত রাজার বার্তা জানাল।
--ঠিক এই কাজের জন্যই আমি এখানে এসেছি। আমি রাজার সৈন্য দলে নিশ্চয় যোগ দেব।

এরপর দরজি রাজদরবারে খুব খাতির সম্মান তো পেলই, বাস করার জন্য একটি সাজানো গোছানো প্রাসাদ পেল।

0 Reviews