এ কথা শুনেই দরজি ডালপালা থেকে লাফিয়ে নামল।

এ কথা শুনেই দরজি ডালপালা থেকে লাফিয়ে নামল।

Author:
Price:

Read more

এ কথা শুনেই দরজি ডালপালা থেকে লাফিয়ে নামল। তারপর তাড়াতাড়ি গাছটির ডালপালা জড়িয়ে ধরল যেন সে এ ভাবেই গাছটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর দৈত্যকে বলল এতবড় একটা দেহ নিয়েও তুমি এই সামান্য গাছটা বইতে পারছ না। তোমার লজ্জা করে না?
এরপর তারা আবার হাঁটতে আরম্ভ করল। থামল এসে এক চেরি গাছের তলায়। দৈত্য গাছের ডগাটা টেনে নামিয়ে দরজিকে বলল—ধর। এই বলে দরজির হাতে গাছের ডগাটা ধরিয়ে দিল। অতবড় গাছটা নুইয়ে রাখার মত শক্তি দরজির ছিল না। তাই দৈত্য গাছটা ছেড়ে দিতেই সেটা সোজা হয়ে আকাশে উঠে পিছন দিকের ঝোঁপে পড়ল। ভাগ্য ভাল কোন চোট লাগেনি।
--এটার কি মানে হল? তোমার কি এই সামান্য গাছের ডাল ধরে রাখার মতও শক্তি নেই। দৈত্য বলল।
--যে এক থাপ্পড়ে সাত সাবাড় করে তার শক্তি তুমি বুঝবে কি করে? গাছটা ধরে রাখার শক্তি ছিল আমার। হঠাৎ দেখলাম শিকারীদের ছোঁড়া তীর আমাকে মারার জন্য ছুটে আসছে। তাই সেগুলো এড়াবার জন্য গাছটার উপর দিয়ে লাফিয়ে ওপারে গেলাম। তা তোমার কি এ রকম লাফাবার ক্ষমতা আছে?
দৈত্য কয়েকবার চেষ্টা করল কিন্তু গাছটা টপকাতে পারল না। বরঞ্চ গাছের ডালপালায় ধাক্কা লেগে আঘাত পেল। অর্থাৎ এ পরীক্ষাতেও দরজি জিতে গেল।
এ সব ঘটনার পর দৈত্য বলল – সত্যিই তুমি একজন পরাক্রমশালী। আমার সাথে আজ আমাদের পাড়ি চল। রাতটা সেখানেই কাটাবে। দরজি মত দিল। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় তারা একটা গুহায় প্রবেশ করল। যার মধ্যে দৈত্যের বাড়ি।

সেখানে আগুনের পাশে দু’জন দৈত্য বসেছিল। তাদের হাতে ছিল একটা করে ঝলসানো ভেড়া। সেগুলি তারা খাচ্ছিল। দরজি তাদের পাশে বসে পড়ল এবং ভাবল পৃথিবীটা আমার দরজিশালার চেয়ে অনেক বড় ও মজার।

0 Reviews