Read more
দিন দিন তার রূপ ফেটে পড়তে লাগল। তার বাবা
মা কিন্তু কোন দিনই তাকে জানতে দেয়নি তার সাত দাদা ছিল। সযত্নে দাদাদের ব্যাপারটা
তার কাছে লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু তার যখন বারো বছর বয়স তখন একদিন সে শুনল পড়শীরা
আলোচনা করছে যে মেয়েটা এখন এত গুণের আর সুন্দর হলে কি হবে ওর জন্যই তো ওর সাতদাদা
আজ হারিয়ে গেছে। কে জানে সেই হতভাগ্যরা বেঁচে আছে না মরে গেছে।
মেয়েটি এ সব কথা শুনে মায়ের কাছে এসে
জিজ্ঞাসা করল তার সাত দাদা ছিল কিনা। থাকলে তারা এখন কোথায় আছে। মা চুপ করে থাকল।
তারপর সে বাবাকে জিজ্ঞাসা করল বাবাও চুপ। তখন সে বলল তাকে সব কথা না বললে সে আর
কিছুই খাবে না। তখন মা বাবা তাকে সব খুলে বলল—সবই আমাদের দুর্ভাগ্য বাছা। রাগের
মাথায় কি বলেছিলাম, সেটাই সত্যি হল। ঈশ্বর আমাদের মনের কথা বুঝলেন না। মা বাবার
স্নেহ ভালবাসা যে কত গভীর বুঝলেন না। হায় আমাদের বাছারা এখন কোথায় কে জানে।
মেয়েটি
ঠিক করল যে সে তার ভাইদের খুঁজে বার করবে। চেষ্টা করবে তাদের কাক থেকে আবার মানুষ
করার। মা বাবাকে এ কথা বললে যেতে দেবে না এ কথা সে জানত। একদিন সে তাই গভীর রাতে
সবাই যখন ঘুমাচ্ছে তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল। সঙ্গে নিল পথে খাবার জন্য অল্প
খাবার, এক বোতল জল, পরে থাকা জামা কাপড়ে আর একটা ওড়না। আর নিল মা বাবার আংটিটা তার
পরিচয় হিসাবে। তারপর সে পথ হাটতে লাগল ভাইদের খোঁজে। এ ভাবে সে পুরো পৃথিবীটা চষে ফেলল।
তারপর একদিন পৃথিবীর শেষ প্রান্তে সূর্যের কাছে পৌঁছে গেল। দেখল চাঁদ ভীষণ ঠান্ডা
তার কাছে গেলেই জমে যাবে। আর চাঁদকে কিছু জিজ্ঞাসা করবার আগেই চাঁদ এমন কটমট করে
তার দিকে লাল চোখ নিয়ে তাকাল যে সে পালিয়ে বাঁচল।
0 Reviews