Read more
--দাদা তুই এই ঝর্ণার জল খাস না। খেলেই হরিণ হয়ে যাবি।হরিণ হলেই আমার কাছ থেকে দৌড়ে কোথায় চলে যাবি।বোনের এ কথা কানে যাবার আগেই দাদা ঝর্ণার ধারে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছে। তারপর যেই এক ফোঁটা জল তার ঠোঁট পেরিয়েছে অমনি সে হয়ে গেল এক চিতল হরিণ।তা দেখে প্রথমেই বোন কিছুক্ষণ কাঁদল, চিতল হরিণ দাদাও কাঁদল। তারপর বোন বলল ধৈর্য ধরে দাঁড়াও আমার প্রিয় হরিণ। তোমাকে ছেড়ে আমি কোন দিন কোথাও যাব না। এরপর সে তার সোনালি রিবন খুলে নিয়ে
হরিণের গলায় বেঁধে দিল। বুনো লতা তুলে নিয়ে একটা দড়ি বানাল। সেই দড়ি হরিণের গলায়
বেঁধে দড়ির অন্য দিক ধরে তাকে নিয়ে পথ চলা আরম্ভ করল ছোট বোন। এ ভাবে তারা হাঁটতে হাঁটতে ঘন জঙ্গলের মধ্যে
আরো গভীরে এসে প্রবেশ করল। আরো অনেকক্ষণ হাঁটার পর বোন দেখল একটা কুঁড়ে ঘর। সে
দরজায় টোকা দিল। তারপর চিৎকার করে ডাকল। কিন্তু কেউ কোন সাড়া দিল না। সাড়া না পেয়ে
সে দরজা খুলে কুঁড়ের মধ্যে ঢুকে দেখল কুঁড়ে ঘর ফাঁকা। কোন লোকজন নেই। বোনটি ভাবল
আমারা এখনেই বসবাস করতে পারব।
0 Reviews