Read more
বাকী রইল তের নম্বর ঘর। ওই ঘরে কি আছে। ওখানে
কি আরো বেশি আনন্দ। আমি কি ওই ঘর খুলে দেখব। না সেটা তো পাপ হবে। কাঠুরে কন্যা
নিজের মনেই দিনের পর দিন এ সব ভাবত। পালিকা মা রেগে যাবেন এ সব ভেবেও সে তের নম্বর
ঘরের দরজা খুলত না।
চুপচাপ থাকলেও তার মনের মধ্যে তের নম্বর ঘর খুলে
দেখার লোভ বেড়েই যেতে লাগল। তার মনে কোন শান্তি নেই।
তারপর একদিন সুখের রাজ্যে সব ছেলে মেয়ে অনেক
দূরে গান গাইতে, খেলতে গেছে তখন সে ভাবল আমি এখন একা। এখন যদি আমি তালা খুলে দেখি
তাহলে কেউ জানতেও পারবে না। তের নম্বর ঘরের ছোট্ট চাবিটা নিয়ে সে চলল। তারপর এক সময়
ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে চাবি ঘুরিয়ে দরজা খুলে ফেলল। খুলেই দেখল তিনজন পরী একটি সোনার
সিংহাসনে বসে আছে। তাদের চারপাশে ঘিরে আছে উজ্জ্বল মায়াবী আলো।
আলোটা আসছে স্ফটিকের
একটা থেকে। সে স্ফটিকের গোলক আঙ্গুল ছোঁয়ানো মাত্র আঙ্গুলটা যেন ছিটকে সরে এল আর
দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ শোনা গেল। সে যত তাড়াতাড়ি পারল লাফ দিয়ে ঘরের বাইরে এল। ঘরের
দরজা বন্ধ হয়ে গেল। সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে আবাক হয়ে দেখল যে আঙ্গুল দিয়ে সে স্ফটিক
গোলকটা ছুঁয়েছিল সে আঙ্গুলের ডগাটা সোনার হয়ে গেছে। সে বার বার ঘষেও সেই সোনা
ফেলতে পারল না। ভয়ে সে মুষড়ে পড়ল।
0 Reviews