Read more
জন কিন্তু ভিতরে গেল না।
সে দাঁড়িদের কাছে ডেকেই থাকল। তারপর রাজকন্যা ভিতরে যেতেই মাঝি মাল্লাদের সব পাল
তুলেদিয়ে যত জোরে পারা যায় দাঁড় টেনে দেশের দিকে ময়ূরপঙ্খী ভাসায়। ময়ুরপঙ্খী
বাতাসের বেগে সমুদ্রর উপর যেন উড়ে চলেছে আর রাজকন্যা তখন সোনার সব জিনিস দেখতে
মশগুল। এভাবে বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেল। সব জিনিসপত্র দেখারপর অনেক জিনিস কেনার
জন্য পছন্দ করে সওদাগরকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রাসাদে ফিরে যাবার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করল।
তারপর ডেকে এসে দেখে যে নাও মাঝ সমুদ্রে ছুটে চলেছে। তার রাজ্য থেকে তিনি অনেক
দূরে। বিস্ময়ে আর ভয়ে চিৎকার করে উঠলেন আমাকে ঠকিয়ে এক অপরিচিত বণিক দূর দেশে নিয়ে
যাচ্ছে। এর চেয়ে আমার সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে মরে যাওয়াই উচিত।
রাজা রাজকন্যার হাত দুটি
জড়িয়ে ধরলেন। তারপর বললেন আমি কোন বণিক নই। আমি একজন রাজা। অভিজাত বংশ গরিমায়
তোমার সমকক্ষ আমি। তবে আমি যে অন্যায়টা করেছি সেটা তোমাকে ভালবেসে করেছি। আমার
প্রাসাদকক্ষে তোমার তৈলচিত্র দেখেই আমার এ অকথা হয়েছিল। আমি তৈলচিত্র দেখে তার
সামনেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।
ঐ সব কথা শুনে
রাজকন্যার হৃদয় গলে গেল। তিনি রাজাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন।
0 Reviews