Read more

এরপর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে। রানির জমজ ছেলে হয়েছে। রাজা ও রানি তাদের নিয়ে খুশি। সে দিন রানি গেছেন দেবতার মন্দিরে প্রার্থনা করতে। দুই রাজপুত্র তাদের বাবার সাথে খেলা করছে। রাজার চোখ হঠাৎ পড়ল জনের পাথরের মূর্তির দিকে। তাঁর দু’চোখ জলে ভরে উঠল। কান্না ভেজা গলায় লজ্জার সুরে বলল – ওহ। বিশ্বাসী জন, আমি যদি আবার তোমাকে বাঁচিয়ে তুলতে পারতাম....।
তুমি আমাকে আবার জীবন ফিরিয়ে দিতে পার। যদি তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসকে আমার কাছে উৎসর্গ কর তবে আমি প্রাণ ফিরে পাব। রাজার কথা শেষ হওয়ার সাথে সথেই পাথরের মূর্তি বলে উঠল।
--পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদও আমি তোমার জন্য উৎসর্গ করব।
--তাহলে তোমার নিজের হাতে যমজ দুই ছেলের মাথা কেটে ফেল আর তাদের রক্তে আমাকে চান করিয়ে দাও। তাহলেই আমি প্রাণ ফিরে পাব।
এ কথা শুনে রাজা বেশ বিস্মিত ও ভীত হলেন। তারপর যখন বিশ্বাসী জনের সব কাজের কথা এক এক করে স্মরণ করলেন। কিভাবে বিশ্বাসী জন তার জন্য মারা গেছে বুঝতে পারলেন। তখন তাঁর কর্তব্য ঠিক করে ফেললেন।

তরবারি টেনে নিয়ে দুই ছেলের মাথা কেটে নিজের হাতে জনের পাথরের মূর্তিকে ছেলেদের রক্তে চান করালেন। আর নিমেষে জীবন্ত বিশ্বাসী জন তার সামনে যেমন আগে ছিল ঠিক তেমনি। রাজা আপনার এই ত্যাগ তো বৃথা যেতে পারে না। এই বলে জন যমজ দুই ছেলের কাটা মাথা তুলে লাগিয়েদিল। তারা আগের মতই লাফালাফি করে খেলতে লাগল। যেন কোন কিছুই ঘটেনি। কোথাও কোন রক্ত বা ক্ষতের চিহ্ন মাত্র রইল না। সবই মিলিয়ে গেল।

0 Reviews