Read more
তখন বিশ্বাসী জন ধীরে ধীরে রাজার কাছে এসে
বলল, এখন আপনার উত্তরাধিকার ভাগ করে বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। চলুন আগে প্রাসাদের
বাইরে যে সব দুর্গ আছে সেগুলো দেখবেন। সেখানে সব সম্পদ বুঝে নেবেন। তারপর
প্রাসাদের সম্পদ।
এভাবে রাজার বিভিন্ন জায়গার দূর্গগুলি ভাল
করে দেখতে দেখতে, সেখানে সৈন্য-সামন্ত লোকজনদের সাথে পরিচিত হতে রাজার বেশ কয়েক
মাস কেটে গেল। রাজকার্যে বেশ অভিজ্ঞতাও হল।
তারপর প্রাসাদে ফিরে এসে বিশ্বাসী জন এক এক
করে প্রাসাদের বিভিন্ন কক্ষ, রত্নভান্ডার, কোষাগার সব রাজপুত্রকে খুলে দেখাতে
লাগল।
রাজা লক্ষ্য করলেন প্রাসাদের বিভিন্ন জায়গা
দেখলেও অলিন্দের শেষ ঘরটি বিশ্বাসী জনএড়িয়ে গেল। ওঘরের তালা খুলছে না। তখন তিনি
বললেন, বিশ্বাসী জন তুমি ওই কক্ষটি খুলছ না কেন? ওটাকে কি আছে?
হীরের ভান্ডারটা দেখবেন।
এভাবে যতবারই রাজা এই ঘরটার কথা তোলেন জন
ততবারই এড়িয়ে যায়।
রাজা তখন রেগে গিয়ে
বললেন, জন তুমি আমাকে এবার এই ঘরটাই দেখাবে। এই বলে তিনি দরজা খুলতে গেলেন। তখন জন
তাকে টেনে সরিয়ে এনে বলল, আপনার বাবাকে মৃত্যু শয্যায় আমি কথাদিয়েছি ঐ ঘরের কি আছে
তা দেখতে দেব না। যদি আপনি জোর করে দেখেন তবে আপনার এবং আমার উভয়ের মাথায়
দুর্ভাগ্যের পাহাড় নেমে আসবে।
0 Reviews