Read more
এরপর চাষা করুণ সুরে তার দুঃখের কথা বলল।
প্রথমে বলল ব্যাঙরা তাকে কিভাবে ঠকিয়ে টাকা নিয়েছে। তারপর বলল কুকুর আর কসাইয়ের
কাছে সে মাংস দিয়ে কীভাবে ঠকেছে। এ সব কথা শুনে রাজকন্যা হো হো করে হেসে উঠলেন।
রাজা বললেন এ রকম ঘটনার সুবিচার করা আমার
পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তোমার হতাশ হবার কিছু নেই। রাজকন্যার সাথে তোমার বিয়ে দেব।
রাজকন্যা জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন দিন হাসেনি। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম
রাজকন্যাকে হাসাতে পারলে তার সাথেই রাজকন্যার বিয়ে দেব। তুমি পেরেছ অতএব রাজকন্যা তোমার।
ভেবে দেখ এটা তোমার কত বড় সৌভাগ্য। --ভগবান আমার রক্ষে করুক। ঘরে একটা বৌ নিয়েই
আমি নাজেহাল। আবার একটা বউ। না, রাজামশায় না – চাষা চিৎকার করে উঠল।
রাজামশাই এতে রেগে গিয়ে বললেন – তুমি একটা
মূর্খ বদমাশ চাষা।
হ্যাঁ, রাজামশাই, সত্যিই তাই। তবে বলদের
কাছে আপনি মাংস ছাড়া অন্য কিছু পেতে পারেন কি?
--আচ্ছা। অপেক্ষা করো। একটা অন্য রকম বড়
পুরষ্কার তোমাকে দেব। তবে এক্ষুনি নয়। তিন দিন পরে এস। তুমি পাবে ঠিক পাঁচশো।
রাজার এই আদেশ শুনে চাষা দরবার থেকে বেরিয়ে যাবার সময় দরবারের দ্বার রক্ষক সেপাই
তাকে ধরল – রাজকন্যাকে হাসিয়েছ। তার মানে বেশ বড়সড় পুরষ্কার পেতে চলেছ তাই না।
চাষা বলল সত্যিই তাই। রাজামশায় আমার জন্য
পাঁচশো বরাদ্দ করেছেন।
--পাঁচশো। তা এর থেকে আমার ভাগ কত?
0 Reviews