Read more

তিনদিন কেটে গেল। চাষা ভাবল আজ রাতেই আমার পকেটে অনেকগুলো টাকা এসে যাবে। এ সব ভেবে সে খুব আনন্দিত হয়ে গান গাইতে লাগল। কিন্তু কোথায় কি? রাত পুইয়ে ভোর হল। কেউ টাকা দিয়ে গেল না। চাষা তখন রেগেমেগে বলল – জোচ্চোরে দেশটা ভরে গেছে। কাউকে বিশ্বাস করাই যাবে না। কানাই ভাবল এটা একটা রসিকতা। তারপর চাষার কথায় এবার তার চমক ভাঙল।
--এটা মোটেই রসিকতা নয়। এই বড় গ্রেহাউন্ডটা তোমার নয়। একে দিয়েই তো তিনদিন আগে আমি বলদ মেরে মাংস পাঠিয়ে দিলাম। তারই করে কিছু দিতে নেই। এরপর সে সোজা চলে গেল শহরের কসাইখানায়। কসাইকে গিয়ে বলল মশাই আমার মাংসের দামটা দিন তো।
দাম চাইছি। কসাই তখন রেগে গিয়ে উত্তম মধ্যম দিয়ে চাষাকে ঘর থেকে বের করে দিল।

--দাম দেওয়ার বদলে মার। পৃথিবী থেকে কি ন্যায় বিদায় নিয়েছে। রাজার কাছে বিচার চাইতে হবে। গজ্‌গজ্‌ করতে করতে চাষা এসে হাজির রাজদরবারে। রাজা তখন রাজকন্যাকে পাশে নিয়ে বিচার সভাতেই বসেছিলেন।

0 Reviews