নর্মদা

নর্মদা

Author:
Price:

Read more

নর্মদা নদীর তীরে পর্বতের উপত্যকায় একটা বিরাট শিমূলগাছে বহু পাখি বাসা বেঁধে বাস করত।
একদিন  বর্ষাকালে ভীষণ বৃষ্টি নেমেছে, পাখিরা বাসায় বসে আছে। হঠাৎ তাদের নজরে এল গাছের নীচে কতগুলি বানর বসে বসে বৃষ্টিতে ভিজছে আর শীতে কাঁপছে। তাদের দেখে পাখিদের দয়া হল। কিন্তু পাখি এরা, দয়া হলেও তো কিছু করতে পারে না, তাই একটি পাখি হঠাৎ বলে উঠল—তোমরা কি হে, দিব্যি হাত-পা আছে বাসা তৈরী করতে পার না? আমরা দেখ তো, ঠোঁট দিয়েই কেমন বাসা তৈরি করেছি।
ব্যাস, রেগে গেল বানরের দল। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগল—আস্পর্দা দেখেছিস পাখিগুলোর, আমাদের উপদেশ দিতে আসছে। একটা শিক্ষা না দিলে তো চলছে না। কি বলিস তোরা?
সবাই একসঙ্গে বলে উঠল—ঠিক বলেছিস। দাঁড়া, বৃষ্টি থামুক, তারপর শিক্ষা দিতে হবে।
মূর্খের তো উপদেশ কাজে লাগে না। কিচির মিচির করে বানরগুলির কি লম্ফঝম্প। বৃষ্টি থামতেই তারা করল কি, লাফ দিয়ে গাছে উঠে পাখিগুলির বাসা ভেঙে একবারে তছনছ করে দিল। আশ্রয়চ্যুত হল পাখির দল। তাই বলছিলাম বিদ্বানদেরই উপদেশ দেওয়া উচিত’।
‘হুম্‌, তা তো হল’—রাজা বলল, ‘কিন্তু চিত্রবর্ণের কি হল?’
‘তারপর মহারাজ’। দীর্ঘমুখ বক বলতে লাগল, ‘পাখিরা তো ক্রুদ্ধ হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, রাজহাঁসকে কে রাজা করেছে? শুনুন কথা—আমি তো গেলাম ভীষণ রেগে, জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের ময়ূরকে কে রাজা করেছে? তাতে ওরা আরও রেগে আমাকে হত্যা করতে এল। কিন্তু আমিও কম যাই কিসে? রুখে উঠলাম তক্ষুনি। ঘাবড়ে গেল তারা’।
রাজা হেসে বলল, ‘ঠিকই বলেছ—
যে নিজের ও শত্রুর সবলত্ব ও দুর্বলত্ব বিচার করে প্রভেদ বুঝতে পারে না সে শত্রুর দ্বারা পরাজিত হয়।
বহুদিন যাবৎ প্রতিদিন বাঘের চামড়াপরা নির্বোধ গাধা শস্যক্ষেতে শস্য খেতে গিয়ে বাকসংযমের অভাবে চিৎকার করে নিহত হয়েছিল’।
বক বলল, ‘কি রকম মহারাজ?’
‘তাহলে শোন’। রাজা বলতে লাগল ঃ

0 Reviews