শেয়াল

শেয়াল

Author:
Price:

Read more

শেয়াল

শেয়াল তো বনেই থাকে। একদিন এক শেয়াল ঘুরতে ঘুরতে এক শহরে এসে একজন ধোপার নীলজলে পূর্ণ পাত্রটা দেখতে গিয়ে তার মধ্যে পড়ে যায়। পাত্রটা ছিল বেশ গভীর। কিছুতেই সে উঠতে পারছিল না। কিন্তু বুদ্ধি তার কম ছিল না। সে করল কি, মাথাটা জাগিয়ে নিশ্চল হয়ে পড়ে রইল পাত্রতে। রাত্রিবেলায় সে এসেছিল শহরে। কাজেই ধোপা জানতেও পারেনি, শেয়ালটা যে তার নীলের পাত্রতে পড়ে রয়েছে।
পরদিন ধোপা সকাল বেলায় নীলের পাত্রতে শেয়ালটাকে দেখে তো থ। তারপর যখন দেখল সে নড়েও না, চড়েও না, ধোপা ভাবল, যেমন কর্ম তেমন ফল। বেটা নীলজলে খাবার খেতে এসেছে? খা বেটা, খা। বলে সে শেয়ালটাকে একটা খোঁচা দিয়ে বুঝল সে মরে গেছে। তারপর সে তাকে পাত্র থেকে তুলে নিয়ে বনের ধারে ফেলে দিয়ে এল।
আসলে শেয়ালটা তো জীবিতই ছিল, সে করল কি, ধোপা চলে যেতেই সে এক দৌড়ে চলে গেল বনে।
বনে তো গেল সে, কিন্তু পড়ল মুশকিলে। তার স্বজাতীয়েরা যদি তাকে তাড়িয়ে দেয়? কিন্তু বুদ্ধি থাকলে সব হয়। সে মনে মনে একটা বুদ্ধি ঠিক করে সোজা গিয়ে স্বজাতীয়দের বলল, ‘দেখেছ আমার গায়ের রঙ, বনদেবী নিজের হাতে আমাকে সাজিয়ে দিয়ে তোমাদের রাজা করে পাঠিয়েছেন’।
তার গায়ের নীল রঙ দেখে তার স্বজাতীয়রা থতমত খেয়ে গেল। ভাবল, হবেও বা।
তারপর থেকে সেই শেয়াল তাদের রাজা হয়ে রাজত্ব করে। ক্রমে তার আধিপত্যও বাড়ল। বনের সব পশুরাই থতমত খেয়ে তাকে রাজা বলে মেনে নিয়েছে। তার পাত্র-মিত্র-সভাসদ এখন সবই বাঘ, ভালুক, সিংহ। তাদের স্বজাতীয়রা গেল চটে। তখন এক বৃদ্ধ শেয়াল তাদের বলল, ‘দাঁড়াও ব্যবস্থা করছি’। বলে সে সবাইকে আদেশ করল, ‘আজ সন্ধ্যেবেলায় যখন রাজদরবার বসবে, পাত্র-মিত্র-সভাসদ সবাই থাকবে, তখন তোমরা সবাই একসঙ্গে চিৎকার করে উঠবে। সে তো আমাদেরই স্বজাতীয়। সেও তখন চিৎকার করে উঠবে। তাতে সবাই বুঝবে, সে শেয়াল। তারপর যা হবে বুঝতেই পারছ’।
‘কাজেও তাই হল মহারাজ’। মন্ত্রী বলতে লাগল, ‘সন্ধ্যেবেলায় যেই না সব শেয়াল চিৎকার করে উঠেছে, সেও উঠল চিৎকার করে। ব্যস্‌, আর যায় কোথায়? বাঘ-সিংহ বুঝল, সে তো রাজা নয়, সে একটা শেয়াল। তারা তখন সবাই মিলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলল।
মহারাজ আত্মীয় যদি শত্রু হয়, তবে সে ছিদ্র, গুপ্তরহস্য যা  বল সবই জানতে পারে। বনের অভ্যন্তরীন দাবানল সব গাছকেই শুকনো গাছের মত ভস্মীভূত করে।
তাই বলছিলাম আত্মপক্ষ পরিত্যাগ করার কথা’।। রাজা বললেন, ‘তাহলে তাকে একবার দেখা যাক। অনেক দূর থেকে এসেছে সে। তাকে যদি আমাদের পক্ষে আনতে পারি’।
চক্রবাক বলল, ‘তাহলে মহারাজ আমাদের দূতও চলে গেছে, দুর্গও সুসজ্জিত। এখন শুককে আনা যেতে পারে। সে আমাদের শক্তি দূর থেকেই দেখে যাক। কারণ—
কৌটিল্য তীক্ষ্ণবুদ্ধি দূত প্রয়োগ করেই নন্দকে নিহত করেছিলেন। তাই যোদ্ধাবেষ্টিত হয়ে রাজার দূর থেকেই দূতকে দেখা উচিত।
তারপর সভায় শুক ও কাককে আনা হল।
শুক উন্নত মস্তকে আসনে বসেই বলল, ‘ওহে হিরণাগর্ভ, তোমাকে আমাদের মহারাজাধিরাজ চিক্রবর্ণ আদেশ দিয়েছেন, রজ্য ও জীবনের যদি প্রয়োজন থাকে তবে তুমি শীঘ্র এসে আমাদের পদবন্দনা কর। না হলে এ রাজ্য ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাও’।
‘ব্যস, ব্যস’। চিৎকার করে উঠলেন রাজা হিরণ্যগর্ভ। চারিদিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এখানে কি এমন কেউ নেই যে এটাকে গলা ধাক্কা দিয়ে এখান থেকে বার করে দেয়?’
চট করে লাফিয়ে উঠল কাক মেঘবর্ণ। বলল, ‘আদেশ করুন মহারাজ, আমি এই শুককে হত্যা করি?’
সর্বজ্ঞ লাফ দিয়ে উঠল। বলল, ‘না ভদ্র, শান্ত হন’। বলে সে রাজা ও কাককে শান্ত করে বলল, তবে শুনুন—
যে সভাতে বৃদ্ধ নেই সে সভা সভাই নয়। যে বৃদ্ধ ধর্ম কথা বলে না সে বৃদ্ধ বৃদ্ধই নয়। যে ধর্মে সত্য নেই সে ধর্ম ধর্মই নয়। যে সত্য সংশয়যুক্ত সে সত্য সত্যই নয়।
কে দূতের কথায় নিজের হীনতা ও শত্রুর শ্রেষ্ঠতা মনে করে? অবধ্য বলেই দূত সর্বদা নানা কথা বলে।
তারপর রাজা ও কাক শান্ত হল। আর এদিকে শুকও রাজদরবার ছেড়ে উঠে চলে গেল। কিন্তু চক্রবাক তো মন্ত্রী, সব দিকেই তার নজর রাখতে হয়। সে করল কি, শুককে নানান উপহার দিয়ে তার দেশে পাঠিয়ে দিল।
শুক সেখান থেকে গিয়ে সোজা রাজদরবারে উপস্থিত।
রাজা চিত্রবর্ণ তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি সংবাদ শুক? সে দেশ কেমন?’
শুক বলল, ‘মহারাজ,  কি বলব? কর্পূরদ্বীপ স্বর্গতুল্য, আর সেখানকার রাজাও তার দ্বিতীয় অধিপতি’।
রাজা খুব খুশি বলে মনে হল না। রাজা সবাইকে ডেকে বললেন, ‘বর্তমানে যা করা কর্তব্য তা হল যুদ্ধ’।
তার মন্ত্রী ছিল শকুনি। সে বলল, ‘যুদ্ধ করবেন, কিন্তু যুদ্ধের জন্যই যুদ্ধ করবেন না।
যখন রাজারা থাকেন মিত্রভাবাপন্ন, মন্ত্রী ও আত্মীয়েরা অবিচলিত অনুরাগী, তার শত্রু থাকে প্রতিকূল তখন যুদ্ধ করা বিধেয়।
রাজ্য, মিত্র ও স্বর্ণ এই তিনটিই হল যুদ্ধের ফল। এগুলি যখন নিশ্চিত হবে তখন যুদ্ধ করা বিধেয়’।
রাজা বললেন, ‘তুমি আমার শক্তি জানো। যাহোক দৈবজ্ঞ ডাক। যুদ্ধের সময় ঠিক করুন’।
মন্ত্রী বলল, ‘মহারাজ, তবুও হঠাৎ যুদ্ধ করাটা ঠিক হবে না। কারণ –
সহসা কাজ আরম্ভ করা দোষের। যে মুর্খ শত্রুর শক্তি বিচার না করে সহসা যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয় সেই মূর্খ নিশ্চয়ই অস্ত্রের ধার (আলিঙ্গন) লাভ করে’।
রাজা বললেন, ‘আঃ মন্ত্রী, তুমি আমার উৎসাহভঙ্গ কর না তো, জয়লাভের জন্য কিভাবে পররাজ্য আক্রমণ করতে পারি  তা বল’।
মন্ত্রী বলল, ‘মহারাজ, বলছি শুনুন—
রাজা যদি শাস্ত্রানুসারে কাজ না করেন তবে মন্ত্রণাতে কি লাভ? ঠিকমত ঔষধ প্রয়োগ না করলে রোগের শান্তি কখনও হয় না।
তবে রাজার আদেশও লঙ্ঘন করা যায় না। যথাশাস্ত্রই আমি বলছি, শুনুন –
রাজাদের যেখানে নদী, পর্ব বন ও দুর্গের ভয় আছে সেখানে যথাশাস্ত্র সেনানীব্যূহ বিন্যস্ত করে সেনাপতি যুদ্ধে যাবেন।
বীরপ্রধানদের সঙ্গে সেনাধ্যক্ষ সামনে যাবেন, মধ্যে থাকবেন স্ত্রীলোক, রাজা, রাজকোষ, হীনবল ব্যক্তিগণ ও সৈন্য।
উভয় পার্শ্বে থাকবে অশ্বারহী সৈন্য, তাদের পার্শ্বে বৃষ রথের পার্শ্বে হস্তী, হস্তীর পার্শ্বে থাকবে পদাতিক সৈন্য।
তার পেছনে সেনাপতি শ্রান্ত সৈনিকদের আশ্বাস দিতে দিতে যাবেন ধীরে ধীরে। পেছনে আমাত্যরা, নিপুণ যোদ্ধার দলের সঙ্গে রাজা নিয়ে যাবেন সৈন্য।
উঁচুনিচু বন্ধুর স্থানে, জলাকীর্ণ প্রদেশে, পর্বতে যাবে হস্তীসৈন্য। সমতলে যাবে অশ্বারহীরা, নদীতে নৌ-সৈন্য আর সর্বত্র পদাতিক। কথিত আছে –
বর্ষাকালে হস্তীসৈন্য গমনের পক্ষে প্রশস্ত, গ্রীষ্মকাল প্রশস্ত অশ্বারোহীর জন্য, আর সর্বকাল পদাতিকের জন্য।
হে রাজন্‌। পর্বত ও দুর্গপথ আত্মরক্ষার্থে রক্ষা করা কর্তব্য। নিজের যোদ্ধৃপুরুষেরা রক্ষা করতে থাকলেও রাজা প্রগাঢ় নিদ্রা না নিয়ে আত্মরক্ষার চিন্তা করবেন।
দুর্গরক্ষক শত্রুসৈন্যকে হত্যা করে সেনানিবাসের শত্রুসৈন্যকে আক্রমণ করবে। শত্রুরাজ্যে প্রবেশ করবার সময় অরণ্যচারী যোদ্ধৃপুরুষ ভীল, বিরাত প্রভৃতি সৈনিক অগ্রবর্তী হবে।
যেখানে রাজা সেখানেই কোষাগার, বিনা কোষাগারে রাজত্ব করা সম্ভব নয়। তারপর সুদক্ষ যোদ্ধাদের ধন দান করবে। দাতার জন্য কে না যুদ্ধ করবে?
হে রাজন, কোন মানুষ মানুষের অধীন নয়, মানুষ অর্থের দাস। অর্থের জন্য মানুষ সম্মান পায় বা হীন হয়।
সৈনিকরা মিলিত হয়েই পরস্পর পরস্পরকে রক্ষা করবে। আর হীনবল সৈন্য বূহ্যমধ্যে সন্নিবেশিত করবে।
রাজা পদাতিক সৈন্যকে সৈনিকদের সামনে যোজনা করবেন ও শত্রুরাজ্যে উপদ্রব সৃষ্টি করবেন।
সমতলে রথ ও অশ্বদ্বারা, জলাকীর্ণ স্থানে নৌকা ও হস্তী দ্বারা, তরুলতা আচ্ছন্ন স্থানে ধনুর দ্বারা ও অন্যত্র অসি-চর্ম-আয়ুধের দ্বারা যুদ্ধ করবে।
শত্রুর ঘাস, অন্ন, জল ও রন্ধনকাঠ সর্বদা দূষিত করবে আর জলাশয়, প্রাচীর ও পরিখাগুলি বিনষ্ট করবে।
রাজার হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকদের মধ্যে হস্তীই শ্রেষ্ঠ। অন্যগুলি সেরূপ নয়। কথিত আছে, হস্তী নিজেই অষ্টবিধ অস্ত্রের দ্বারা সজ্জীত। যথা—চারটি পা, দুটি দাঁত, শুঁড় ও লেজ।
অশ্বই হল সৈন্যদের মধ্যে গমনশীল প্রাচীরস্বরূপ। সেই অশ্ববল যে রাজার বেশি আছে তিনিই স্থলযুদ্ধে বিজয়ী হন।
চতুরঙ্গ সেনারক্ষণ হল যুদ্ধনৈপুণ্যের মুখ্য। চারিদিকের আগমননির্গমণ পথ নির্বিঘ্নে রাখাই পণ্ডিতকর্ম বলে নীতিশাস্ত্রে বলা আছে।
প্রকৃত বীর অস্ত্রপ্রোয়োগকুশল, রাজার প্রতি অনুরক্ত, কষ্টসহিষ্ণু এবং জ্ঞানীরা বলেন, বীরত্বে খ্যাত ক্ষত্রিয়বহুল সৈন্যই শ্রেষ্ঠ।
হে রাজন। পৃথিবীতে প্রভুদত্ত সম্মানাদি লাভ করে সৈনিক পুরুষ যেরূপ যুদ্ধ করে বহু ধন দান করলেও তারা সেরূপ যুদ্ধ করে না।
প্রভুতবলশালী অল্পসংখ্যক সৈন্য ভাল। কিন্তু দুর্বল অধিকসংখ্যক সৈন্য ভাল নয়। কারণ দুর্বল সৈন্যেরা পলায়ন করলে বলশালীদেরও উৎসাহ ভঙ্গ হয়।
নিজের সৈন্যের প্রতি অপ্রসন্ন হলে, সৈন্যমধ্যে অবস্থান না করলে, বেতন না দিলে, লুন্ঠনপ্রাপ্ত ধন আত্মসাৎ করলে, কালক্ষেপ করলে, বিপদে নিশ্চেষ্ট থাকলে সৈন্যদের বিরক্তির কারণ হয়।
বিজয়েচ্ছু রাজা নিজের সৈন্যপীড়ন না করে শত্রুসৈন্যের প্রতি অভিযান করবেন। দীর্ঘপথ পর্যটনে ক্লান্ত শত্রুকে অনায়াসে বিনাশ করতে পারবেন।
যে হেতু শত্রুর জ্ঞাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নেই, সেহেতু শত্রুর জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে।
রাজপুত্র বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ধি করে নিশ্চিন্ত অভিযুক্ত শত্রুর গৃহবিচ্ছেদ করা উচিত।
যুদ্ধে বিরাম দিয়েও কপট মিত্রভাবাপন্ন রাজাকে বিনাশ করবে। অযথা গরুর গলায় দড়ি ধরে টেনে আনবার মত বিপক্ষের প্রধানকে আকর্ষণ করে বশীভূত করবে।
বিজয়েচ্ছু প্রধানকে আকর্ষণ করে বশীভূত করবে।
বিজয়েচ্ছু রাজা শত্রুরাজ্য থেকে লোক এনে নিজের রাজ্যে বাস করাবেন অথবা ধন সম্মান দান করে বাস করাবেন, এতে নিজের রাজ্য ঐশ্বর্যসম্পন্ন হবে। আর বেশি বলে কি হবে—
নিজের উন্নতি আর শত্রুর হানি এ দুটিই নীতি। নীতিজ্ঞ পণ্ডিতেরা এ দুটি স্বীকার করে বাগ্মীতা প্রকাশ করেন’।
রাজা হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ, সবই ঠিক। যাও দৈবজ্ঞের কাছ থেকে সময় জেনে এস’। বলে রাজদরবার ভঙ্গ করে রাজা চলে গেলেন।
ওদিকে সেই যে হিরণ্যগর্ভের গুপ্তচর দূত নিয়ে গিয়েছিল, সে করল কি, সেই গুপ্তচরকে রাজার কাছে পাঠিয়ে দিল।
গুপ্তচর এসে রাজাকে প্রণাম করে বলল, ‘মহারাজ, রাজা চিত্রবর্ণ প্রায় এসে পড়েছেন। মলয় পর্বতে তিনি শিবির স্থাপন করেছেন। সেখানে দুর্গ সংস্কার ও পর্যবেক্ষণ করছেন। রাজা চিত্রবর্ণ কারুকে নিযুক্ত করেছেন’।
‘বল কি?’ লাফিয়ে উঠল মন্ত্রী চিত্রবাক। বলল, ‘তাহলে মহারাজ, নিশ্চয়ই সেই কাক’।
‘না না, কি যে বল?’ রাজা বললেন, ‘তাহলে সে শুককে নির্বান করতে যাবে কেন? আর শুক আসার পরেই না যুদ্ধ করতে তার খুব উৎসাহ’।
‘তাহলেও মহারাজ আগন্তুককে সন্দেহ করা উচিত’। চিত্রবাক বলল।
‘না না, তা কেন?’ রাজা বললেন, জান না—
শত্রু হিতকারী মিত্র হয়, আবার হিতকারী মিত্রও অহিতকারী শত্রু হয়। দেহের রোগ ক্লেশকর, কিন্তু বনজাত ঔষধ স্বাস্থ্যকর।
রাজা শুদ্রকের বীরবর নামে এক কর্মচারী ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই সে তার নিজের ছেলেকে দান করেছিল’।
‘কি রকম মহারাজ?’ চিত্রবাক বলল।
‘তাহলে শোন’ রাজা বলতে শুরু করলেন ঃ

0 Reviews