Read more
বামনরা রুটি খেয়ে জিজ্ঞাসা করল—এই শীতের সময়
তুমি এখানে এলে কেন? মেয়েটি তখন তার দুঃখের কথা জানিয়ে বলল একঝুড়ি স্ট্রবেরী না
নিয়ে আমি তো ঘরে ফিরতে পারব না। বমনরা তখন তাকে একটা ঝাঁটা দেখিয়ে বলল, ওই ঝাঁটা
দিয়ে তুমি কি আমাদের ধরের উঠোনটা পরিষ্কার করে দিতে পারবে?
--হ্যাঁ, হ্যাঁ, আনন্দের সঙ্গে দেব, এই বলে
ঝাঁটা নিয়ে মেয়েটি বাইরে বেরিয়ে গিয়ে উঠানে জমা তুষার ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করতে
লাগল। বামনগুলি বলা বলি আরম্ভ করল।
--মেয়েটি বেশ শান্ত ও ভদ্র।
-- সে তার রুটি আমাদের খাইয়েছে।
-- তারপর আবার আমাদের উঠোন পরিষ্কার করেছে।
--তাই আমি তাকে বর দিচ্ছি প্রত্যেকদিন সে
আরো বেশি খুশি ও সুন্দরী হবে।
-- আমি বর দিচ্ছি সে কথা বললেই তার মুখ দিয়ে
সোনার মোহর ঝরে পড়বে।
-- আমি বর দিচ্ছি দেশের রাজা তাকে বিয়ে করে
দেশের রানি করবেন।
এভাবে তিন বুড়ো বামন পরপর মেয়েটিকে তিনটি বর
দিল। ওদিকে সে ঝাঁট দিতে দেখল বরফ কুটির মধ্যে অনেক অনেক পাকা স্ট্রবেরী। সে ঝাঁট
দিয়ে সারা উঠোন পরিষ্কার করল। তারপর তার ঝুড়ি ভর্তি করল। তারপর বুমন বুড়োদের
ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ির দিকে পথ হাঁটা আরম্ভ করল।
সে বাড়ি পৌঁছতেই সৎমা তেড়ে এল। শান্ত ভাবে
সে বলল – শুভ সন্ধ্যা। অমনি তার মুখ থেকে মোহর ঝরে পড়ল। মেয়েটি বুঝতে পারল জঙ্গলের
বামনরা কিছু একটা কান্ড ঘটিয়েছে। এরপর তার প্রতি কথাতেই মোহর পড়তে লাগল আর সারা ঘর
সোনার মোহরে ভরে গেল।
মা, মনে হয় হতচ্ছাড়ীটা পাগল হয়ে গেছে। না
হলে ওভাবে কেউ মোহর ফেলে – তার সৎ বোন বলে উঠল। আসলে তার খুব হিংসা হচ্ছিল। তাই
সেও বনে গিয়ে স্ট্রবেরী আনার বায়না ধরল।
0 Reviews