তারপর বিধবা তার সৎ কন্যার উপর খারাপ ব্যবহার করতে লাগল।

তারপর বিধবা তার সৎ কন্যার উপর খারাপ ব্যবহার করতে লাগল।

Author:
Price:

Read more

তারপর বিধবা তার সৎ কন্যার উপর খারাপ ব্যবহার করতে লাগল। তাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করাতে লাগল। আর ফন্দী খুঁজতো কিভাবে তাকে কষ্ট দেওয়া যায়। তবু সে দিন দিন আরো সুন্দর হতে লাগল আর তার নিজের মেয়ে অত যত্নে থেকেও হতকুৎসিত হতে লাগল।
সে দিন শীতের কঠিনবেলা। চারদিকে বরফের স্তুপ। নদী জমে কঠিন বরয়। সেই বরফ ঝরা দিনে সৎমা একটা কাগজের পোশাক এনে লোকটির মেয়েকে বলল এটা বরে বনে যাও, আমার জন্য এক ঝুড়ি স্ট্রবেরী নিয়ে এস। আমার স্ট্রবেরী খেতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।
আমাকে একটু দয়া কর। এই শীতে কোথাও স্ট্রবেরী পাওয়া যাবে না। কাগজের পোশাক পরেই বা যেতে হবে কেন? কাঁটা আর ঝড়ে কাগজের পোশাক ছিঁড়ে যাবে। আর না ছিঁড়লে এই পোশাক পরে বাইরে বেরোলে ঠান্ডায় জমে যাব। মরে যাব মেয়েটি কাতর স্বরে বলল।
হতচ্ছাড়ী তুই আমার মুখের উপর কথা বলছিস। এক্ষুনি বেরিয়ে যা। আমার জন্য একঝুড়ি স্ট্রবেরী না নিয়ে ফিরবি না। এই বলে একা বাসী শুকনো রুটি আর ঝুড়ি ধরিয়ে দিয়ে তাকে বাইরে বের করে দিল দুষ্টু সৎমা। মনে মনে ভাবল বাছাধন তোকে আর ফিরতে হচ্ছে না। এই ঠান্ডায় নিশ্চয়ই কোথাও মরে পড়ে থাকবি।

তা মেয়েটি আর কি করে। কাগজের পোশাক পরে ঝুড়ি হাতে বরফের উপর দিয়ে বনের পথে পা বাড়াল। কোথাও কোন গাছপালা তার নজরে পড়ল না। চারিদিকে কেবল বরফের মরুভূমি। ধু ধু বরফের রাজ্যেস্ট্রবেরী সে কোথায় পাবে। এক সময় সে জঙ্গলের মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে দেখল একটা ছোট কুঁড়ে। সে তার ভিতর ঢোকার জন্য বাইরে থেকে অনুমতি চাইল। অনুমতি পেয়ে ভেতরে ঢুকে সে দেখল তিনজন বুড়ো বামন বসে আছে। সে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতেই তাদের অভিবাদন করল এবং বলল আপনাদের দিন সুখের হোক। বামনরা তাকে আগুনের পাশে বসতে বলল। আগুনের পাশে বসে শরীরটা গরম হওয়ার পর সে খাবার জন্য শুকনো রুটিটা বার করল। বামনরা বলল আমাদেরও রুটি দাও। এতো খুব আনন্দের কথা এই বলে সে রুটিটা চার টুকরো করে তিন টুকরো তাদের দিল এবং নিজে এক টুকরো খেল।

0 Reviews