Read more
মা বলল – না বাছা সেখানে তো যাওয়া চলবে না।
ঠান্ডায় জমে তুই মরে যাবি। কিন্তু মেয়ে নাছোড়বান্দা। অতএব মাকে রাজি হতেই হল।
মেয়েকে ভারী পশম আর চামড়ার কোট পরিয়ে মাখন রুটি, মাংসের কাবার ঝুড়িতে ভরে বনে
পাঠাল। মেয়েটি সোজা বনের পথে হাঁটতে হাঁটতে সেই কুটিরে এসে হাজির হল। কাউকে কিছু
জিজ্ঞাসা না করে দরজা ঠেলে আগুনের পাশে বসে পড়ল। বুড়োরা অবাক বিস্ময়ে তাকে তাকিয়ে
দেখছিল। সে সবের তোয়াক্কা না করে সে ঝুড়ি থেকে রুটি মাংস বার করে খেতে লাগল।
বামনরা তার কাছে খাবার চাইলে বলল, খাবার অল্প আছে তা দিয়ে আমারই পেট ভরবে। তোমাদের
দেওয়া যাবে না। এক সময় তার খাওয়া শেষ হল। তখন বামনরা বলল – তোমার পশে ঐ যে ঝাঁটাটা
পড়ে আছে নিয়ে আমাদের উঠোনের তুষারগুলো একটু সাফ করে দাও। আমাকে তোমাদের চাকরানি
পেয়েছ? নিজেরা গিয়ে ঝাঁট দাও। মেয়টি ঝংকার দিয়ে উঠল। তারপর মেয়েটি যখন বামনরা তাকে
কিছুই দিল না তখন সে দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এল। এসে স্ট্রবেরী খুঁজতে লাগল। এদিকে
বামরা নিজেদের মধ্যে কথা আরম্ভ করল।
--এ রকম বদমেজাজী মেয়েকে আমরা কি দেব?
--সে আমাদের অনুমতি নেয়নি, অভিবাদন করেনি,
সে আমাদের খাবার দেয়নি। হিংসুটে ভাগ করে খেতে জানে না।
--আমি বলছি সে দিন দিন আরো কুৎসিত হবে। তার অশান্তি
বাড়বে।
--আমার পরে কথা বলার সময় তার মুখ দিয়ে
কোলাব্যাঙ পড়বে।
--আমি বলছি সে মারা যাবে ভীষণ যন্ত্রণা ও
কষ্ট পেয়ে।
এভাবেই
তিন বামন তাদের কথা শেষ করল। মেয়েটি স্ট্রবেরী না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরল। তারপর
মাকে সব কথা বলতে যেতেই তার মুখ থেকে কোলাব্যাঙ লাফিয়ে পড়তে লাগল। সে দিন থেকে তার
সামনে ভয়ে কেউ আসতই না।
0 Reviews