Read more
রুপাঞ্জেল
মুলো খাওয়াতে লোভে মেয়েকে দিল বিকিয়ে
জন্মমাত্র ডাইনি ঘরে দুঃখে কাটাত মেয়ে
গম্বুজ চূড়ায় থাকে হয়ে বন্দিনী
কত শত দুঃখ পেয়ে রাজার ঘরনী।
সে গল্পই বলছি শোন। একদা কোন এক সময় একজন লোক তার বৌকে
নিয়ে বসবাস করত। তাদের মনে খুব দুঃখ। কোন ছেলেপুলে নেই বলে। তারা চাইত তাদের ঘরে
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করে বেড়াক। কিন্তু সবার কি আশা পূর্ণ হয়। তা এই লোকটির
ঘরের পিছনে একটা ছোট্ট জানলা ছিল। জানলা দিয়ে দেখা যেত এক সুন্দর বাগান। বাগান
সুন্দর সুন্দর ফুল আর শাক সব্জীতে পূর্ণ ছিল। বাগানটার চারদিকে ঘেরা ছিল উচুঁ
পাচিল দিয়ে। কেউ সেই বাগানে প্রবেশ করার সাহস পেত না। কারণ বাগানটার মালিক ছিল এক
ডাইনি। ডাইনি অনেক মায়া জানত। তাকে পৃথিবীর সবাই ভয় করত।
একদিন লোকটির বড় জানলা দিয়ে বাগান দেখছিল। এক সময় সে
দেখল বাগানে একটা মুলার খেত। সেখানে খুব পুরুষ্টু মুলো জন্মেছে। মূলাগুলি দেখলেই খেতে
ইচ্ছে করে। তারও মুলো খাবার ইচ্ছা হল। প্রতিদিন তার এই ইচ্ছে বাড়তে লাগল।
ইচ্ছাপূরণ না হওয়ায় একদিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। দিন দিন সে ফ্যাকাসে পান্ডুর হয়ে
যেতে লাগল।
--তোমার কি হয়েছে? কেন এমন হল আমাকে খুলে বল। লোকটি তার
বৌকে জিজ্ঞাসা করল।
--ওহ, যদি আমি ওই বাগানের মূলা দু-একটা না খেতে পাই তবে
আমি মরে যাব। বৌ বলল।
লোকটা বৌকে খুব ভালবাসত। সে ভাবল যা হবার হবে, সামান্য
মূলোর জন্য তো বৌকে মরতে দিতে পারি না। ওই মূলোর জন্য যা দাম দিতে হবে আমি দেব।
এসব ভেবে সন্ধ্যার আঁধারে লোকটি ডাইনির বাগানের উঁচু
পাঁচিলে উঠে বাগানে নেমে পড়ল। এবং খুব তাড়াতাড়ি দু’হাত ভর্তি করে মূলা তুলে বৌকে
এনে দিল। বৌ তা দিয়ে স্যালাড বানাল। আর দু’জনে মিলে তারিয়ে তারিয়ে খেল।
0 Reviews