মূলাগুলি এত ভাল, তাদের গন্ধ এত সুন্দর ছিল

মূলাগুলি এত ভাল, তাদের গন্ধ এত সুন্দর ছিল

Author:
Price:

Read more

মূলাগুলি এত ভাল, তাদের গন্ধ এত সুন্দর ছিল যে পরের দিন তিন-চার বার ধরে বৌ আবার মূলা খাবার বায়না করল। তারপর একসময় সে উদভ্রান্তের মত আচরণ আরম্ভ করল। লোকটি আর কি করে। বেচারা কথা দিল আজকেও মূলা এনে দেব।
তারপর সন্ধ্যে বেলা যেই না লোকটি পাঁচিল ডিঙিয়ে বাগানে নেমে মুখ তুলেছে, অমনি ভয় পেয়ে চমকে উঠেছে।
তার সামনে দাঁড়িয়ে বাগানের মালিক ডাইনি।
কি সাহস তোর। লোকটির দিকে হিংস্র চাউনি দিয়ে তাকিয়ে ডাইনি বলল, আমার পাঁচিল টপকে আমার বাগানে মূলা চুরি। সাহস বটে বলিহারি। চোর এরজন্য উপযুক্ত শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
--আমাকে ক্ষমা কর। শাস্তি দেওয়ার আগে আমার সব কথা শোন। লোকটি কাতর স্বরে বলল, আমার বৌ তোমার বাগানের মূলাগুলি দেখে খাওয়ার লোভে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মূলা খেতে না পারলে সে মরে যেত।
তুমি যে রকম বলছ সে রকম আচরণ তোমার বৌ করে থাকলে তোমার কোন দোষ নেই। একটু কোমল স্বরে ডাইনি বলল – তোমার যত খুশি আমার বাগান থেকে নিয়ে যাও। তবে তোমাকে কথা দিতে হবে তোমার প্রথম সন্তানের জন্ম হলেই তাকে আমাকে দিয়ে দেবে। আমি তাকে মায়ের মত লালন-পালন করব।
লোকটা তো ভয়ে তাড়াতাড়ি সম্মতি দিয়ে দিল। তারপর যে দিন তাদের সন্তানের জন্ম হল ডাইনি এসে হাজির। সে নবজাতক মেয়েটির নাম দিল রুপাঞ্জেল এবং তাকে নিয়ে চলে গেল।
রুপাঞ্জেল যত বড় হতে লাগল পৃথিবীর বুকে সে সবচেয়ে সুন্দর শিশু হয়ে উঠতে লাগল। যখন তার বার বছর বয়স হল তখন ডাইনি তাকে এক বিশাল উঁচু মিনারের উপর কক্ষে নিয়ে গিয়ে বন্দিনী রে রাখল। সেই মিনারটা ছিল এক গভীর জঙ্গলে। মিনারের উপরের কক্ষে ওঠার জন্য কোন সিঁড়ি ছিল না। কোক্ষে ঢোকার জন্য কোন দরজা ছিল না। ছিল কেবল একটা ছোট জানলা। ডাইনির যখন উপরে ওঠার ইচ্ছে হত তখন সে মিনারের নিচে এসে চিৎকার করে বলত –
‘উপরে উঠব আমি রূপসী রুপাঞ্জেল
তাড়াতাড়ি মাথা থেকে চুলগুলি ফেল’

0 Reviews