Read more
একদিন সে এক বিরাট জলাশয়ের পাশ দিয়ে
যাচ্ছিল। হঠাৎ সে দিখল তিনটি মাছ নলখাগড়ার বনে আটকে পড়ে খাবি খাচ্ছে। যদিও মানুষরা
ভাবে মাছেরা সব বোবা কথা বলতে পারে না, তবু সে শুনতে পেল মাছগুলো আর্তনাদ করছে এবং
জলের অভাবে খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবে সে কথা বলছে। তার মনে এ দেখে দয়া হল এবং ঘোড়া
থেকে নেমে মাছগুলোকে তুলে জলাশয়ে ছেড়ে দিল। মাছগুলো বাঁচার আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠল
এবং জল থেকে মাথা তুলে বলল – আমরা তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকলাম। সুযোগ পেলে তোমার ঋণ
শোধ করে দেব।
এরপর সে আবার ঘোড়ায় চড়ে পথ চলা আরম্ভ করল।
কিছুক্ষণ পর সে কিছু কথা-বার্তা শুনল। সে বুঝতে পারল যে, এই কথাগুলো পিঁপড়েদের
রাজা বলছে – এতবড় পশুটা যদি এখান দিয়ে যায় তাহলে আমাদের অনেকেই মারা যাবে। মানুষটা
কি তার ঘোড়াটাকে অন্য দিক দিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।
লোকটা তখন ঘোড়াটা রাস্তার অন্যধার দিয়ে নিয়ে
চলতে লাগল।
--আমরা তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে এই দেনা
শোধ করে দেব। পিঁপড়েদের রাজা চিৎকার করে বলল। এরপর সে একটা বনের মধ্যে ঢুকল।
সেখানে সে একটা গাছের কাছে এসে দেখল একটা কাক আর তার বৌ বাসা থেকে তাদের বাচ্চাকে
টেনে ফেলে দিচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে অপদার্থ, কুঁড়ের বাদশা পাখি। তোদের আর আমরা
খাওয়াতে পারব না। যথেষ্ট বড় হয়েছিস। যা এবার উড়ে উড়ে নিজেদের খাবার যোগাড় কর।
বেচারা কাকের বাচ্চাগুলো মাটিতে পড়ে ডানা
ঝাপটাতে লাগল। কারণ তাদের ডানা শক্ত হয়নি, তারা উড়তে শেখেনি।
--হায় আমরা হতভাগ্য। মা বাবা আমাদের ফেলে
দিল। এখনও আমরা উড়তে পারি না। না খেয়ে মরণই আমাদের কপালে লেখা আছে। কাকের
বাচ্চগুলো বিলাপ করতে লাগল।
0 Reviews