Read more
অনুচর তখন ঘোড়া টিকে খন্ড খন্ড করে কেটে
তাদের সামনে খাবার জন্য রেখে দিল।
তা দেখে কাকের বাচ্চারা বলল – আমরা তোমার
কাছে ঋণী থাকলাম। প্রয়োজনের সময় তোমাকে সাহায্য করব।
এবার তার আরম্ভ হল পায়ে হেঁটে পথ চলা।
কয়েকদিন হাঁটার পর সে এক বিশাল নগরে প্রবেশ করল।
নগরের এক জায়গায় অনেক লোকের ভিড় দেখে সেও
সেখানে গিয়ে দাঁড়াল। সেখানে সে দেখল লোকগুলি একজন অশ্বারোহীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।
ঘোড়সওয়ার একটা ভেরী বাজিয়ে চিৎকার করে ঘোষণা করছে – শোন, শোন সবাই মন দিয়ে শোন।
রাজকন্যার বর খোঁজা হচ্ছে। রাজকন্যাকে বিয়ে করতে হলে একটি কঠিন কাজ করতে হবে।
কাজটা না করতে পারলে মৃত্যুদন্ড মাথ পেতে নিতে হবে। এর আগে অনেকে চেষ্টা করেছে।
কিন্তু না পেরে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছে। তবু এস এবং চেষ্টা কর।
এসব কথা শুনে কে আর এগোয়। ইতিমধ্যে একদিন
আমাদের ভ্রমণকারী যুবক অনুচরটি রাজকন্যাকে দেখে তার রূপে মুগ্ধ হয়ে গেল। সে সব
বিপদের কথা ভুলে গেল। সোজা গিয়ে রাজার কাছে হাজির হল এবং রাজকন্যাকে বিয়ে করার
প্রস্তাব দিয়ে বলল, সে যে কোন কঠিন কাজ করতে প্রস্তুত। কক্ষুনি তাকে সমুদ্রের তীরে
নিয়ে যাওয়া হল। তার চোখের সামনে একটা সোনার আংটি সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে
বললেন – ঐ আংটিটা তোমাকে সমুদ্রের জল থেকে কাল সকালের মধ্যে তুলে আনতে হবে। না
পারতে তোমাকেও সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে যাতে সমুদ্রেই তোমার জীবন্ত সলিল
সমাধি ঘটে। সেখানে উপস্থিত সবারই যুবকের সুন্দর মুখ দেখে মায়া হচ্ছিল। তবু রাজার
ভয়ে কেউ কোন কথা না বলে সমুদ্রের তীরে তাকে একাকী রেখে রাজার সাথেই সবাই চলে গেল।
শুনসান সেই সাগর বেলায় হতভাগ্য অনুচর একা
যখন নিজের কথা ভাবছিল তখন সে দেখল সমুদ্রের জলে তিনটি মাছ তার দিকেই সাঁতার কেটে
আসছে। এই মাছগুলি অন্য কোন মাছ নয়। সে যাদের প্রাণ বাঁচিয়েছিল সেই মাছ তিনটি।
মাঝের মাছটির মুখে ছিল একটি ঝিনুক। সে তীরের কাছাকাছি এসে ঝিনুকটি অনুচরের পায়ের
কাছে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
0 Reviews