Read more
যুবকটি সেটি তুলে দেখে তার মধ্যে রাজার
আংটি। সে তখন আনন্দের সাথে সেটি নিয়ে প্রাসাদে এসে রাজাকে দিল। ভাবল এবার তার
রাজকন্যার সাথে বিয়ে হবে।
কিন্তু অহংকারী রাজকন্যা যখন দেখল যুবকটি
মোটেই অভিজাত নয়। তখন বিয়ে করতে লজ্জা পেয়ে বলল – তোমাকে আরো একটি কঠিন কাজ করতে
হবে। একথা বলে সে বাগানে গিয়ে দশ বস্তা জোয়ারের দানা ঘাসের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে বলল
ভোর হবার আগেই সব দানা কুড়িয়ে বস্তায় ভরে রাখতে হবে। একটিও দানা পড়ে থাকলে চলবে না।
যুবক তো মাথায় হাত দিয়ে বাগানে বসে পড়ল।
ভাবতে লাগল এ অসম্ভব কাজ কীভাবে করা যায়। কোন উপায় না দেখে সে বিষন্ন চিত্তে
হাটুতে মাথা গুঁজে ভোরের আলা আর মৃত্যুর অপেক্ষা করতে লাগল।
কিন্তু সকাল-বেলায় সূর্যের প্রথম আলোর রশ্মি
বাগানে পড়া মাত্রই সে মাথা তুলে দেখল দশটি বস্তাই জোয়ারের দানায় ভর্তি হয়ে তার
পাশে রাখা আছে। একটিও দানা ঘাসের মধ্যে নেই।
থাকবেই বা কি করে। পিঁপড়েদের রাজা তার হাজার
হাজার অনুচর দিয়ে সারারাত যত্ন সহকারে প্রতিটি দানা খুঁটে খুঁটে তুলে বস্তা ভর্তি
করিয়ে তার ঋণ শোধ করেছেন।
রাজকন্যা সকালে বাগানে এসে দশ বস্তা ভর্তি
দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেও তার অহংকারী মন হার স্বীকার করতে চাইল না।
--যদিও সে দুটো কঠিন কাজ করেছে। তবুএ যতক্ষণ
না সে আমাকে জীবন বৃক্ষ থেকে একটা সোনালী আপেল দেবে ততক্ষণ তাকে আমি বিয়ে করতে
পারব না। আমার স্বামী হতে গেলে তাকে এ কাজ করতেই হবে। রাজকন্যা আদেশের সুরে বলল।
যুবক তো জানেই না জীবন বৃক্ষ আছে কোথায়। তবু
সে উঠে দাঁড়াল। তার পা যতদূর তাকে নিয়ে যেতে পারে সে তাড়াতাড়ি ততদূরেই পাড়ি দিতে
চাইল। কিন্তু জীবন বৃক্ষ খুঁজে পাওয়ার কোন আশাই সে দেখতে পেল না।
0 Reviews