Read more
এ দিকে জেলির
গন্ধ পেয়ে এক এক করে মাছি এসে রুটির উপর বসতে লাগল। এভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এসে
বসতে লাগল। দরজির হঠাৎ সেদিকে চোখ পড়ল। সে চিৎকার করে বলল – এই যে। কো তোদের
নেমন্তন্ন করেছে? ভাগ এখান থেকে।
মাছিরা তো আর
দরজির ভাষা বোঝে না। ফলে তারা আগের মতই ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বসতে লাগল। দরজির এ সব
দেখে খুব রাগ হল। রাগে ফুটতে ফুটতে সে এক টুকরো কাপড় নিয়ে জোরে মাছির ঝাঁকের উপর
মারল। তারপর সে কাপড় সরিয়ে নিতেই দেখল কতগুলো মাছি ঠ্যাং উল্টে মরে পড়ে আছে। সে এক
এক করে গুনে দেখল সাত সাতটা মাছি মরে গেছে।
--ওঃ। তুমি কত বড়
বীরপুরুষ। এক চাপড়ে সাত সাতটা মাছিকে সাবাড় করেছ। দরজি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে বলল।
শহরে সব লোকের এ ব্যাপারটা জানা উচিত। এ কথা ভেবে সে একফালি লম্বা কাপড় নিয়ে কোমর
বন্ধনী বানাল। তারপর কোমর বন্ধনীর উপর বড় বড় করে লিখল – ‘এক থাপ্পড়ে সাতজন সাবাড়’।
কোমর বন্ধনীটা সে ভাল করে এঁটে নিল। শহরে সেটা পরে একবার ঘুরে আসার পর সে ভাবল
শুধু এই শহরে নয় সারা পৃথিবীর লোকের এই খবর জানা উচিত। তাই সে পৃথিবী ভ্রমণে
বেরিয়ে পড়ার জন্য তৈরী হল। সে ভেবে নিল তার এই দরজিশালা তার পক্ষে খুব ছোট জায়গা,
খুবই বেমানান। এবার বেরোবার আগে সে তার ঘরের চারদিক খুঁজে দেখল ভ্রমণের সময় সঙ্গে
নেবার মত কিছু আছে কিনা দেখার জন্য।
কিন্তু সে খুঁজে
খুঁজে পেল পুরনো এক খন্ড চীজ। সে চীজের টুকরোটা পকেটে পুরে নিল। তারপর ঘরের দরজা
ভাল করে বন্ধ করে বাইরে এসে দেখল ঝোঁপে একটা পাখি আটকে আছে। সে পাখিটাকে ধরে পকেটে
পুরল। তারপর বীরের মত পথ হাঁটা আরম্ভ করল। যেহেতু সে কর্মঠ এবং সুস্বাস্থ্যর
অধিকারী ছিল তাই পথ হাটায় তার কোন ক্লান্তি ছিল না। হাঁটতে হাঁটতে সে একসময় এক
পাহাড়ের কাছে পৌঁছাল। তারপর উঠতে উঠতে একেবারে পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড় চূড়ায় পৌছে
দেখল সেখানে এক দৈত্য বসে আছে। দৈত্য তার দিকে দম্ভ ভরে তাকাল।
0 Reviews