Read more
--আস্তে আস্তে আয়
বাছা, আস্তে আয়। অত সহজে কি সবকিছু করা যায়। এই কথা জোরে বলে দরজি চুপচাপ দাঁড়িয়ে
থাকল যতক্ষণ না জানোয়ারটা তার কাছাকাছি আসে। কাছাকাছি আসতেই সে পলকের মধ্যে সরে
গিয়ে একটা গাছের পেছনে দাঁড়াল। গন্ডারটা টাল সামলাতে না পেরে ছুটে গিয়ে দরজির
পেছনে যে বড় গাছটা ছিল তাতে শিংটা বিঁধিয়ে বসল। শিংটা সেই গাছে এমন গভীরভাবে গেঁথে
গেল যে হাজার টানাটানি করে গন্ডার সেটা বার করতে পারল না।
--পাখি এবার
ফাঁদে পড়েছে। এই বলে দরজি গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে প্রথমে গন্ডারটিকে দড়ি দিয়ে
ভাল করে বাঁধল তারপর কুঠার দিয়ে গন্ডারের শিংটা কেটে ফেলল। এরপর লোকজনদের ডেকে
জানোয়ারটাকে রাজার সামনে হাজির করালো।
রাজা কিন্তু এখনও
তার কথা রাখতে সম্মত হলেন না। বললেন – বিয়ের আগে তোমাকে আমার এই তৃতীয় অনুরোধটা
রাখতে হবে। তুমি কি আমার রাজ্যে যে বুনো শুয়োরটা অত্যাচার করছে ধরে দেবে। এর জন্য
তুমি শিকারীদেরও সাহায্য পাবে।
--আনন্দের সঙ্গে
করব। কারণ এটা তো আমার কাছে ছেলে খেলা।
এবারেও সে
শিকারীদের বলল পিছেয়ে থাকতে। এতে শিকারীরা খুশিই হল। কারণ তাদের অনেকেই এই বুনো
শুয়োরটাকে মারতে গিয়ে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে।
বুনো শুয়োরটা
দরজিকে দেখেই তার বড় বড় দাঁত আর ছুঁচালো মুখ নিয়ে তেড়ে এলো। কাছে পেলেই সে দরজিকে
চিরে ফেলবে। হাল্কা শরীরের জন্য দরজিও কাঠবিড়ালীর মত দৌড়তে লাগল। শুয়োরটাও তার
পিছন পিছন। শেষে দরজি ঢুকে পড়ল জঙ্গলের কিনারায় একটা ছোট গির্জায় এবং সঙ্গে সঙ্গে
সেই ঘরের উপরের একটা জানলা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ল। শুয়োরটাওদরজির পেছন পেছন সেই
ঘরে ঢুকে পড়েছিল। তবে সে হাজারবার লাফ মেরেও সেই উঁচু ছোট জানলার কাছে যেতে পারল
না। দরজি পেছন থেকে ঘুরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করেদিল। বুনোশুয়োরটাও ঘরে আটকে গেল।
0 Reviews