Read more
কিন্তু দাসী কোন উত্তর না দেওয়ায় হাঁস আবার
জিজ্ঞাসা করল
আমাকে তুমি চিনছ না
আমার প্রিয় ঝি
দয়া করে বল অতিথিরা
করছে এখন কি?
দাসী বলল – গভীর ঘুমে
সবাই এখন মগ্ন
আনন্দেই কাটছে তাদের
লগন।
রানী বলল – আর আমার
ছোট্ট বাছা নাড়ী ছেড়া ধন
কেবা তার করছে এখন আদর
যতন?
দাসী বলল – ছোট্ট তার
দোলনায় হাত পা ছুঁড়ছে
কখনো জাগছে কখনো
ঘুমোচ্ছে।
রানী তখন জল ছেড়ে উঠে এসে হাঁস-এর ছদ্মবেশে
বাচ্চার দোলনার কাছে গেল। তারপর তাকে দুধ খাইয়ে ভাল করে ঢাকা দিয়ে শুইয়ে নদীতে
নেমে হাঁস হয়ে ভেসে চলল। এভাবে দ্বিতীয় রাতেও সে লে এবং বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে চলে
গেল। তৃতীয় রাতে সে এসে দাসীকে বলল যাও রাজার কাছে। তাকে বল দরজার কাছে সে তার
তরবারিটা আমার উপর তিনবার ঘোরাতে। দাসী রাজার কাছে দৌড়ে গেল এবং তাঁকে সব কথা খুলে
বলল।
রাজা খোলা তরবারী হাতে দৌড়ে এলেন এবং দরজার
সামনে দাঁড়িয়ে হাঁসের মাথার উপর তিনবার তরবারী ঘোরালেন। তিনবারের বার দেখা গেল
তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রানী, তার সৎমা ও সৎবোনের সব কথা রাজাকে খুলে বলল। রাজাতো
এখন খুব খুশি আর সুখি। রাজা রবিবার পর্যন্ত এক গোপন কক্ষে রানীকে লুকিয়ে রাখলেন।
কারণ রবিবারদিন রাজপুত্রের নামকরণ ও অন্নপ্রাশনের দিন।
সব অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজা উৎসব মঞ্চে
উপস্থিত সব অতিথিদের সামনে বললেন, যদি কেউ কারো বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অসহায়ভাবে
কাউকে হাত পা ধরে নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলে দেয় তবে তার কি শাস্তি হওয়া উচিত।
দুষ্টা সৎমাটা তাড়াতাড়ি বলল, একটি পিপে নিয়ে
তার ভিতরে চারপাশে গজান পুতে তার মধ্যে সেই দুষ্ট লোককে ভরে উপরের মুখ বন্ধ করে
পাহাড় থেকে গড়িয়ে নদীর জলে ফেলে দিতে হবে।
0 Reviews