Read more
প্রাসাদে ফিরে ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল। ছোট
বোনটি হল রানি। আনন্দের সাথেই তাদের দিন কাটতে লাগল। হরিণ প্রাসাদের বাগানে মনের
আনন্দে খেলা করে বেড়ায়।
এ দিকে তাদের সেই ডাইনী সৎমা ভেবেছিল জঙ্গলের
জন্তু জানোয়াররা তাদের মেরে ফেলেছে বা অনাহারে তারা মরে গেছে। কিন্তু যখন সে শুনলো
তার সৎ মেয়েই এখন দেশের রানি তখন হিংসায় তার বুক ফেটে যেতে লাগল। কারণ তার নিজের
মেয়ে ছিল হতকুৎসিত। তার উপর একটা চোখ নেই। এ রকম মেয়েকে বিয়ে করবে কে? ঈর্ষার
আগুনে সে জ্বলে পুড়ে মরতে লাগল। ভাবতে লাগল কীভাবে সে তাদের ক্ষতি করবে। তারপর
একদিন সুযোগ এসে গেল। রাজ্যবাসী জানতে পারল রানির ছেলে হয়েছে। নতুন যুবরাজ এসেছেন।
ডাইনী সৎমা দেখল এটাই সুযোগ। তাই সে মেয়েকে নিয়ে প্রাসাদে হাজির হল নাতির মুখ
দেখবে বলে। রাজা সে সময় রাজপ্রাসাদের বাইরে ছিলেন। তারপর তারা রানির ঘরে বসল।
স্নানের সময় হলে সব দাসীদের তারা সরিয়ে দিল। বলল অসুস্থ মেয়েটাকে আমরাই স্নান
করাব। তরপর রানিকে মা মেয়ে মিলে ধরাধরি করে চানের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিল। তারপর
ঘরে আগুন জ্বেলে দিল এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল। ভাবল রানি এবার দম বন্ধ হয়ে গরম
জলে পুড়ে মরবে। এরপর রানির ঘরে এসে নিজের মেয়ের একটা টুপি পরিয়ে রাজশয্যায় শুইয়ে
দিল। আসল রানির মতোই তার রূপ বদলে দিল কিন্তু কানা চোখ ঠিক করতে পারল না। তার
ডাইনী বিদ্যায় সে ক্ষমতা ছিল না। যে দিকে চোখ নেই সেদিকে পাশ ফিরে তাই মেয়েটা শুয়ে
থাকল। রাজা সন্ধ্যের সময় ফিরে ছেলে হয়েছে শুনে খুব খুশি হলেন। রাজা তাড়াতাড়ি
রানিকে দেখতে গেলেন। সেখানে ডাইনী বুড়ি বসেছিল। সে বলল বাবা রানি এখনো আলো সহ্য
করতে পারছেন না তাই ঘর অন্ধকার। দরজাটাও বন্ধ করে দাও। রাজা তাই দু’একটা কথা বলেই
চলে গেলেন। নকল রানি শুয়ে থাকল বিছানায়।
0 Reviews