মাঝরাতে যখন ঘুমচ্ছে কেবল রাজপুত্রের দাই জেগে আছে।

মাঝরাতে যখন ঘুমচ্ছে কেবল রাজপুত্রের দাই জেগে আছে।

Author:
Price:

Read more

মাঝরাতে যখন ঘুমচ্ছে কেবল রাজপুত্রের দাই জেগে আছে। সে দেখল সত্যিকার রানি আস্তে আস্তে এসে বাচ্চাকে তুলে দুধ খাওয়াল। তারপর তাকে ভালভাবে শুইয়ে চলে গেল। তারপর গেল হরিণের কাছে। তার মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দিল। ধাই সকাল বেলায় প্রহরীদের জিজ্ঞাসা করল কাল রাতে প্রাসাদ থেকে কাউকে বেরিয়ে যেতে দেখেছ।
প্রহরী বলল না ।
এভাবেই ধাই বেশ কয়েকটা রাত দেখল। কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারে না। আবার নিজের দেখা জিনিস অবিশ্বাস করবে কিভাবে। তারপর একদিন রাতে রানি মুখ খুললেন এবং বললেন –
কেমন আছে আমার হরিণ, আমার দুধের বাছা
আর দু’দিন আসব আমি আর যাবে না আসা।
ধাই কোন উত্তর দিল না। রানি মিলিয়ে যেতেই ধাই দৌড়ে রাজার কাছে গিয়ে কোন উত্তর দিল না। রানি মা তা শুনে বললেন – হায় ভগবান, এ সবের মানে কি? তবে আগামীকাল রাতে আমিই ছেলের কাছে থাকব।
পরদিন মাঝরাতে রানি এল। রাজা দেখলেন ধাই যা বলেছে রাণী যে সব কাজ খুব নিপুণ ভাবে করল তারপর ধাইয়ের কাছে গিয়ে বলল –
কত দূরে চলে যাব থাকবে আমার বাছা
হরিণ সহ তাদের দেখো আর যাবে না আসা।
রাজা হতবাক হয়ে সব শুনলেন, সব দেখলেন। কিন্তু কোন কথা বলতে পারলেন না। রানি মিলিয়ে গেল।
পরদিন রাতে যখন আবার রানী সব কাজ সেরে যাবার সময় ধাইকে বলল—
চললাম আমি আসব না আর কোনদিন
ভাল করে পালন করো শিশু ও হরিণ।
এ সব শুনে রাজা ঠিক থাকতে না পেরে একলাফে রানীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন বললেন – তুমিই আমার রানী। আমার একান্ত ভালবাসার জন। সেই মুহূর্তেই ইশ্বরের আর্শীবাদ রানী তার আগের রূপ ফিরে পেল। রাজাকে সে খুলে বলল তার সৎমা আর মেয়ে কীভাবে তাদের উপর অত্যাচার করেছে। তাকে চান করানোর নামে কীভাবে ঠকিয়েছে।

রাজা এ সব শুনে রেগে গিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড দিলেন। মেয়েকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল। বনের পশুরা সেখানে তাকে ছিঁড়ে খেল। সৎমা ডাইনী বুড়িকে পুড়িয়ে মারা হল। যে মুহূর্তে ডাইনী পুড়ে ছাই হয়ে গেল তক্ষুনি ডাইনীর সব মায়া কেটে গেল। আর চিতল হরিণ তার আগের রূপ ফিরে পেল। রানি এসে তার দাদাকে জড়িয়ে ধরল। তারপর রাজা, ভাই ও বোন সুখেই জীবন কাটাতে লাগল।

0 Reviews