রাজার অন্য চাকর-বাকরেরা যারা বিশ্বাসী জনকে হিংসা করত তারা বলা বলি করতে লাগল স্পর্ধা দেখ।

রাজার অন্য চাকর-বাকরেরা যারা বিশ্বাসী জনকে হিংসা করত তারা বলা বলি করতে লাগল স্পর্ধা দেখ।

Author:
Price:

Read more

রাজার অন্য চাকর-বাকরেরা যারা বিশ্বাসী জনকে হিংসা করত তারা বলা বলি করতে লাগল স্পর্ধা দেখ। অত সুন্দর ঘোড়াটাকে মেরে ফেলল। এর জন্য ওর শাস্তি হওয়া উচিত। তোমরা সব চুপ কর। ও আমার বিশ্বাসী জন। যা করেছে আমার ভালর জন্যই করেছে। এ কথা বলে রাজা প্রাসাদের দিকে যাত্রা করলেন।
প্রাসাদে ঢুকেই দেখেন কক্ষে সোনার ডিশে সুন্দর বর পোশাক। সোনা-রূপোয় বোনা। রাজা এগিয়ে গিয়ে সেটা তুলে নিয়ে পরতে গেল। বিশ্বাসী জন তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দস্তানা পরা হাতে সেটা তুলে নিয়ে গিয়ে আগুনে ফেলল। সেখানে উপস্থিত অন্য চাকর-বাকরেরা গুন গুন তুলল – রাজার বর পোশাক পুড়িয়ে দিল।
কে জানে আমার কোন ভালর জন্যই নিশ্চয় করেছে। ওকে ছেড়ে দাও। ও আমার বিশ্বাসী জন– রাজা বললেন।
তারপর তো মহা ধুমধামে জাঁক যমক করে বিয়ে হয়ে গেল। বিরাট ভোজসভা। নাচের আসর চলছে। বিশ্বাসী জন এক দৃষ্টে নাচের আসরের দিকে ঘটনা প্রবাহের উপর নজর রাখছে।

তার লক্ষ্য বিশেষভাবে রানির দিকে। হঠাৎ রানি ফ্যাকাশে হয়ে নাচের মেঝেতে মুর্চ্ছিত হয়ে পড়ে গেলেন। জন দ্রুত দৌড়ে গিয়ে রানিকে তুলে পাশের ফাঁকা কক্ষে নিয়ে তাঁর বিছানায় শুইয়ে দিল। তারপর তার পাশে হাঁটু ভাঁজ করে বসে তার বুক চিরে তিন ফোঁটা রক্ত বারকরে দুরে ছুঁড়ে ফেলে দিল। রানিও কিছুক্ষণের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলেন। তরুণ রাজা নিজের চোখে সব কিছু দেখলেন তার বিশ্বাসী জন কেন এমন করল সে সব কিছু না জেনে ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন। চিৎকার করে বললেন – ওকে কারাগারে নিয়ে যাও। পরদিন বিচারসভায় কাঠগড়ায় তাকে দাঁড়াতে হল। বিচারে তার প্রাণদন্ড হল। তখন জন বলল, মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সব অপরাধীই দন্ড গ্রহণের আগে শেষ ইচ্ছা প্রকাশ কারার সুযোগ হয়। আমিও কি কিছু বলার সুযোগ পেতে পারি?

0 Reviews