Read more
মাঝরাতে
সে চাকা থেকে উঠে আগুনটা জোরালো করে চাকায় বসে যেমনি আগের মত কথাগুলো উচ্চারণ
করেছে তক্ষণি ঘরের কোণে উঠল মিয়াও—মিয়াও শব্দ।
উঃ কি
ঠান্ডা... আর তুমি বালক আগুনের ধারে। এই হতচ্ছাড়া ওভাবে চিৎকার করছ কেন? তোমার যদি
ঠান্ডা লাগছে, তো আগুনের ধারে এসো বসো আর নিজেকে গরম কর। তার এ কথা বলা মাত্রই
দুটো কালো বেড়াল লাফ দিয়ে তার দু’পাশে এসে বসল। তারপর তদের হিংস্র বুনো জ্বলজ্বলে
চোখ দিয়ে তাকে দেখতে লাগল। আগুনের তাপে গরম হওয়ার পর তারা বলল, বন্ধু আমরা কি এখন
তাস খেলতে পারি।
--নিশ্চয়ই,
ছেলেটি বলল, তবে তার আগে আমি তোমাদের থাবাগুলি দেখব।
তখন
বিড়াল দুটি তাদের থাবা বাড়িয়ে দিল। তা দেখে ছোট ছেলে বলল তোমাদের নখগুলো কি বড় বড়
আর বিশ্রী। দাঁড়াও আগে আমি অগুলো কেটে দিই তারপর তাস খেলব। একথা বলেই সে বেড়াল
দুটির ঘাড় ধরে কার্ডবোর্ডের উপর বসিয়ে দিল এবং স্ক্রু দিয়ে তাদের পা দুটি এঁটে
দিল। তোমাদের দেখার পর তোমরা কি বুঝতে পেরেছ আমি তাস খেলার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছি। এ
কথা বলেই সে বিড়াল দুটি মেরে ফেলল আর দুর্গের বাইরে পরিখার জলে ছুঁড়ে ফেলেদিল। আর
তারপরে ঘটল সে এক কান্ড। ঘরের প্রতিটি কোণ থেকে, গর্ত থেকে বড় বড় কালো রং-এর কুকুর
আর বেড়াল তারদিকে তেড়ে ছুটে আসতে লাগল। সে চাকা গড়িয়ে আগুনের এ পাশে ওপাশে সরে যায়
আর জন্তুগুলো আগুনে পড়তে থাকে। কিন্তু তবু তারা শেষ হয় না। আসছে তো আসছেই তখন সে
রেগে গেল। তার ছুরি নিয়ে উল্টে সে এবার তাড়া করল। যাকে সামনে পেল তাকেই মেরে
পরিখার জলে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
0 Reviews