Read more
তার উভয়ে জঙ্গলে পথে হাঁটতে আরম্ভ করল।
এভাবে হাঁটতে হাঁটতে তারা জঙ্গলে একটা জায়গায়
এসে থামল। যেখানে গাছপালা ঝোঁপঝাড় প্রায় নেই। একটা লম্বা খুঁটির মতো গাছ। গাছটা
দেখে বেহালা বাদক খরগোসের গলায় দড়ি দিয়ে ভাল করে বাঁধল। দড়ির একদিক সে গাছের গোড়ায়
বেঁধে বলল – আমার প্রিয় ছাত্র, সুন্দর খরগোস এই গাছটাকে পাক দিয়ে তুমি ঘোরা আরম্ভ
কর। খরগোস তো লাফ দিয়ে গাছটিকে পাক দিতে আরম্ভ করল। কুড়ি পঁচিশ পাক ঘোরার পরই
খরগোস গাছের গুঁড়ির সাথে দড়ি দিয়ে পাকে পাকে জড়িয়ে গেল। বেহালা বাদক তখন খরগোসকে
আরো ভালো করে বেঁধে বলল আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এবাবে অপেক্ষা কর। এ বলেই সে পথ
হাঁটা আরম্ভ করল।
ইতিমধ্যে নেকড়ে
পাথরটাকে টানা হ্যাঁচড়া আরম্ভ করেছে। পাথরটাকে কামড়ে সেই ক্ষত বিক্ষত হয়েছে।
কিন্তু তবু হাল ছাড়েনি। এক সময় সে গর্ত থেকে পাগুলি বার করে মুক্ত হল। রাগে সে তখন
ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। দৌড়তে লাগল সে বেহালা বাদকের খোঁজে। যখন সে শেয়ালের নিচ দিয়ে
দৌড়চ্ছিল তখন শেয়াল তাকে দেখে বলল, ভাই নেকড়ে আমাকে সাহায্য কর। এক দুষ্টু বেহালা
বাদক আমার এই দশা করে গেছে। নেকড়ে তখন সেই হেজল গাছে উঠে তার ডাল নুইয়ে বাঁধন খুলে
শিয়ালকে মুক্ত করল। এবার তারা দু’জনে চলল বেহালা বাদকের খোঁজে। পথেই তারা খরগোসেরও
দেখা পেল এবং তাকে মুক্ত করল।
0 Reviews