Read more
কাঠুরে কন্যার কাহিনী
অনুতাপে যে কখনো দগ্ধ হয়
না
সুখ এলেও তার কপালে কোনো
সুখ হয় না।
একদা কোন এক সময়ে এক গহীন জঙ্গলের ধারে বাস
করতো এক কাঠুরে। ঘরে ছিল তার বৌ আর তিন বছরের এক সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে। কিন্তু
কাঠুরে এত গরীব ছিল যে সপ্তাহে মাত্র একদিন পেটভরে বৌ-মেয়ে নিয়ে খেতে পেত।
প্রত্যেকদিন তার প্রায় না খেয়েই কাটাত।
এ রকম অনাহারের এক রাত কাটিয়ে কাঠুরে
সকালবেলায় গভীর জঙ্গলে ঢুকে একটা শুকনো গাছ দেখে যখনি কুড়ুলের কোপ বসিয়েছে তখনি এক
আশ্চর্য কান্ড।
সে দেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় সোনার মুকুট
আর ঝলমলে পোশাক পরে এক সুন্দর মহিলা। যার মুকুটে ঝিক্মিক্ করছে আকাশের তারারা।
আমি সব গরীব অসহায় শিশুদের অভিভাবক – মা। আমি
দেবদূতী। গরীব শিশুদের মায়ের মত দেখাশোনা করা আমার কাজ। তুমি তোমার মেয়েকে আমার
কাছে দাও। সে আমার কাছে সুখে থাকবে। তাকে আমি খুব যত্নে বড় করে তুলব। দেবদূতী কোমল
মিষ্টি স্বরে কাঠুরেকে অনুরোধ করল।
কাঠুরে ভেবে দেখল সে তো মেয়েকে খেতে দিতেই
পারে না। না খেয়ে হয় তো মারাই যাবে। তার চেয়ে....
কাঠুরে মেয়েকে এনে দেবদূতীর হাতে তুলেদিল।
দেবদূতী তাকে কোলে করে নিয়ে এলেন সুখের রাজ্যে। যেখানে কেবল সুখ আর সুখ। মিষ্টি
স্বাদের রুটি, খাঁটি দুধ, ফল আর মিষ্টি। যত খুশি খাও। সোনা আর রূপোর সুতোয় বেনা
ঝলমলে পোখাক পরে সুন্দর ছেলে-মেয়েদের সাথে খেলা আর গান গাও। হ্যাঁ, তার সাথে
লেখাপড়া।
0 Reviews