Read more
উজ্জয়িনী নগরে যাওয়ার পথে এক প্রান্তরের একটি কোণে বিরাট একটা অশত্থ গাছ ছিল।
সেই গাছে এক হাঁস ও এক কাক বাস করত।
এক গ্রীষ্মকালে একদিন এক পথিক যাচ্ছিল ঐ পথ দিয়ে। দুপুরের রোদে সে ঘেমে নেয়ে
সারা। তাই ক্লান্ত হয়ে সে সেই অশত্থ গাছের নিচে বসে বিশ্রাম করতে করতে ঘুমিয়ে
পড়েছিল। পথিকের হাতে ছিল তীরধনুক। সে সেই তীরধনুক তার পাশে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল।
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে, পথিকের ওঠার নামগন্ধও নেই। সে ঘুমিয়েই রয়েছে। হঠাৎ গাছের
উপর থেকে হাঁস দেখল, বেচারা পথিকের মুখে রোদ পড়েছে। হাঁসের তো স্বভাব সুন্দর, তার
খুব দয়া হল। সে তাড়াতাড়ি নিজের দুটি পাখা মেলে ধরল যাতে পথিকের মুখে রোদ না পড়ে।
এদিকে কাকটাও সবই লক্ষ্য করেছিল। কিন্তু স্বভাব-দুবৃর্ত্তের স্বভাব যাবে
কোথায়? সে ভাবছিল কিভাবে সে হাঁসের অনিষ্ট করবে।
পথশ্রমে পথিক এতই ক্লান্ত ছিল যে একটু পরে তার নাক ডাকতে লাগল, মুখ হয়ে গেল
হাঁ। কাকটা তখন করল কি, হঠাৎ সে নিচু হয়ে পথিকের মুখে বিষ্ঠা ত্যাগ করে পালিয়ে
গেল। ওয়াক, ওয়াক থু থু করতে করতে ঘুম ভেঙে ধড়ফড় করে লাফিয়ে উঠে পড়ল পথিক। উপর
থেকেই কিছু পড়েছে বলে সে উপর দিকে তাকিয়েই দেখতে পেল একটা হাঁস ঠিক তার মাথার উপর
ডানা মেলে বসে রয়েছে। পথিক তো রেগে ছিলই, এখন হাঁসটাকে দেখে সব রাগ গিয়ে পড়ল তার
উপর। সে তক্ষুনি তীরধনুক দিয়ে হত্যা করল হাঁসটাকে।
তাই বলছিলাম মহারাজ, দুর্জনের সঙ্গে বাস করা উচিত নয়। কথায়ই তো আছে ঃ
অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করে সাধু সংসর্গ অবলম্বন কর, অহোরাত্র ধর্মানুষ্ঠান কর, আর
সংসার অনিত্য, সর্বদা একথা চিন্তা কর। মহারাজ এই হল দুর্জনের সঙ্গে বাসের কথা। এখন
শুনুন দুর্জনের সঙ্গে যাওয়ার কথা।
0 Reviews