Read more
এক ক্ষত্রিয়
অযোধ্যা নগরে চূড়ামণি নামে এক ক্ষত্রিয় ছিল। সে ছিল অত্যন্ত গরিব। তাই সে ধনের
জন্য দীর্ঘকাল ভগবান মহাদেবের আরাধনা করে তাঁকে সন্তুষ্ট করেছিল। তারপর ক্ষত্রিয়ের
পাপক্ষয় হওয়ায় ভগবানের আদেশে যক্ষেশ্বর কুবের তাকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বললেন—তুমি
কাল সকাল বেলায় মুখ-হাত না ধুয়ে একটা লাঠি হাতে গোপনে বাড়ির দরজায় লুকিয়ে থাকবে।
তারপর একটি ভিক্ষুক যখন তোমার বাড়ির দরজায় আসবে তখন তাকে লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে
মেরে ফেলবে। সেই ভিক্ষুকই তখন এক কলসী সোনার মোহরে রূপান্তরিত হবে। তাহলে তুমি
যাবজ্জীবন সুখী হবে।
তারপর পরদিন ঠিক তাই হল।
সকালবেলার এই ঘটনাটা কিন্তু একটা নাপিত দেখেছিল।
সে ভাবল, আরে, এভাবে যদি সোনার মোহর ভর্তি কলসী পাওয়া যায় তবে আমিও বা করি না
কেন? তারপর থেকে সে রোজ একটা লাঠি নিয়ে
গোপনে ভিক্ষুকের অপেক্ষায় থাকত। একদিন পেয়েও গেল সে। পেয়ে কি আর সে দেরি করে?
খটাখট্ করে পিটেয়ে তাকে শুইয়ে ফেলল। কিন্তু কোথায় সোনার মোহর, কোথায় বা কি? রাজার
শাস্ত্রী এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। তারপর যা হয়, তাদের মারের চোটে ঘুচে গেল তার সব।
তাই বলছিলাম, মহারাজ পুণ্যের ফল না থাকলে কি আর—
রাজা বললেন, ‘অতীতের উপাখ্যান বলে কি আর বোঝা যায়, কে অকৃত্রিম বন্ধু আর কে
বিশ্বাসঘাতক? থাকগে এখন যুদ্ধের আয়োজন কর। শুনেছি মলয় পর্বতে রাজা চিত্রবর্ণ এসে
উপস্থিত হয়েছেন’।
‘হ্যাঁ মহারাজ, ঠিকই শুনেছেন’। মন্ত্রী বলল, তবে এখন তাদের নিজেদের মধ্যেই
গণ্ডগোল বেধেছে। এই সময়ই তাকে জয় করতে হবে। কারণ –
কথিত আছে লোভী, নিষ্ঠুর, অবসাদগ্রস্ত, মিথ্যাবাদী, অসাবধানী, ভীরু,
অব্যবস্থিতচিত্ত, মূর্খ এবং যুদ্ধে অপমানিত সৈনিককে অনায়াসে ধ্বংস করা যায়।
দীর্ঘপথ অতিক্রমে পরিশ্রান্ত, নদী, পর্বত, বন, ঘোর অগ্নি, ভয়ে ক্লিষ্ট,
ক্ষুৎপিপাসায় পীড়িত, মত্ত, ভোজনে উদ্গ্রীব, রোগ ও দুর্ভিক্ষে পীড়িত, অস্থির,
প্রচণ্ড ঝঞ্ঝা বৃষ্টিপাতযুক্ত, কাদা ও ঘোলাজল সমন্বিত বিক্ষিপ্তচিত্ত,
দস্যুতস্করের ভয়ে ভীত, এরকম শত্রুসৈন্যকে রাজা বিনাশ করবেন।
তাই আমি আমাদের সৈন্যদের আদেশ দিয়েছি চিত্রবর্ণের সৈন্যদের আক্রমণ করবার জন্য
এবং তারা বহু সৈন্য হত্যা করেছে।
এদিকে রাজা চিত্রবর্ণ পড়লেন মহা মুশকিলে। বহু সৈন্য ও সেনাপতির নিহত হওয়ার খবর
পেয়ে তার মন্ত্রী শকুনিকে বললেন, মন্ত্রী, আপনি আমাকে অবজ্ঞা করছেন কেন? আমার কি
কোন ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে? কারণ আমি জানি—
ঔদ্ধত্য দ্বারা রাজ্য পাওয়া যায় না, অন্যায় আচরণ করা উচিত নয়। বার্ধক্য যেমন
উত্তম সৌন্দর্য নষ্ট করে, ঔদ্ধত্যও সেইরূপ সম্পদ নষ্ট করে।
কর্মক্ষম ও কর্মকুশলী ব্যক্তি সম্পদ লাভ করে, সুখাদ্যভোজী ব্যক্তি নীরোগ হয়,
রোগহীন মানুষ আনন্দিত হয়, উদ্যমশীল মানুষ হয় সর্বশাস্ত্রদর্শী এবং বিনয়ী মানুষ ধর্ম,
অর্থ ও কীর্তি লাভ করে।
শকুনি বলল, ‘মহারাজ, জলাশয় সন্নিহিত বৃক্ষ যেমন সুদৃশ্য হয়, রাজা অবিদ্বান
হলেও জ্ঞানবৃদ্ধের উপদেশ দ্বারা উত্তম সম্পদ লাভ করে।
মদ্যপান, পরদারগমন, পশুহত্যা, অক্ষক্রীড়া, অন্যায়ভাবে অর্থগ্রহণ, বাক্যে
কর্কশতা ও দণ্ডে নিষ্ঠুরতা এ সকল রাজার বিপদের কারণ।
মহারাজ, আপনি সৈন্যদের উৎসাহ ও সাহস দেখে আমাকে অবজ্ঞা করছেন, তা এখন তার
ফলভোগ আপনাকে করতেই হবে। কথিত আছে—
নীতিদোষ কোন্ কু-মন্ত্রীকে না আশ্রয় করে? অপথ্যভোজী কাকে না রোগ কষ্ট দেয়?
সম্পদ কাকে না গর্বিত করে? যম কাকে না নিহত করে? স্ত্রীলোকের অন্যায় কার্য কাকে না
ক্ষুব্ধ করে?
বিষাদ আনন্দকে, শীত শরৎকালকে, সূর্য অন্ধকারকে, কৃতঘ্নতা সুপ্রকৃতিকে, ইষ্টলাভ
শোককে, নীতি বিপদকে, দুর্নীতি সমৃদ্ধিকে নাশ করে।
যার নিজের বুদ্ধি নেই শাস্ত্র তার কি করবে?
যার চোখ নেই দর্পণ তার কি করবে?
এসব চিন্তা করে আমি চুপচাপ আছি মহারাজ’।
রাজা বললেন, ‘না মন্ত্রী, আমার অপরাধ হয়েছে। যাহোক আমি যেন অবশিষ্ট সৈন্যের
সঙ্গে এখন বিন্ধ্যপর্বতে যেতে পারি তার ব্যবস্থা করুন’।
মন্ত্রী চুপ করে থেকে ভাবল—দেবতা, গরু, ধেনু, রাজা, ব্রাহ্মণ, বালক, বৃদ্ধ ও
রুগ্নদের প্রতি সর্বদা ক্রোধ সংযত করা উচিত। তারপর হেসে বলল, ‘মহারাজ—
শত্রুর ভেদবুদ্ধি পুনঃ সংযোজনে মন্ত্রীরও বাত-পিত্ত-শ্লেষ্মাদির বিকার উপস্থিত
হলে চিকিৎসকের বুদ্ধি প্রকাশ পায়, সহজসাধ্য
বিষয়ে কোন মানুষ না পণ্ডিত?
অল্পবুদ্ধির মানুষ অল্পয়াসসাধ্য কাজ আরম্ভ করে তা শেষ করবার জন্য অধীর হয়, আর
বুদ্ধিমান মানুষ মহৎ কাজ আরম্ভ করে তা সম্পন্ন করার জন্য ধৈর্যশীল হয়।
আপনার পরাক্রমেই তাদের দুর্গ ধ্বংস করে আপনাকে সসৈন্য বিন্ধ্যপর্বতে নিয়ে
যাব’।
‘কি করে? এত অল্প সৈন্য নিয়ে?’ রাজা বললেন।
‘সবই হবে মহারাজ’। মন্ত্রী বলল, ‘ক্ষিপ্রকারিতাই জয়লাভের কারণ। আজই দুর্গদ্বার
অবরোধ করুন’।
সেই বকদূত তখন এসে রাজা হিরণ্যগর্ভকে বলল, ‘মহারাজ, চিত্রবর্ণের মন্ত্রী
শকুনির পরামর্শে রাজা এসে দুর্গদ্বার অবরোধ করছে’।
ঘাবড়ে গেল রাজহংস। বলল, ‘মন্ত্রী, তাহলে উপায়?’
মন্ত্রী চক্রবাক বলল, ‘নিজে সৈন্যের বল পরীক্ষা করুন মহারাজ, তাদের অর্থ
বস্ত্র উপহার দিন’।
‘কি বলছ মন্ত্রী?’ রাজা বললেন।
‘হ্যাঁ মহারাজ’।
চক্রবাক বলল, ‘যজ্ঞে, বিবাহে, বিপদে, শত্রুবিনাশে, কীর্তিসাধনে, মিত্রসংগ্রহে,
প্রিয়ার মনোরঞ্জনে ও দরিদ্র বন্ধু বা আত্মীয়ের জন্য ব্যয় এই আট প্রকার ব্যয় রাজার
অতিরিক্ত নয়।
মন্দবুদ্ধির লোক অল্প ধনক্ষয়ের ভয়ে সর্বনাশও করে। কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি
পাজশুল্কের ভয়ে পণ্যদ্রব্য পরিত্যাগ করে?’
রাজা বললেন, ‘কিন্তু এসময় কি অত ব্যয় করা উচিত হবে? বিপদের জন্য অর্থসঞ্চয় করা
দরকার’।
‘মহারাজ, বিপদই তো এখন। নিজের শ্রেষ্ঠ সৈন্যদের দান ও সম্মান দ্বারা পুরস্কৃত
করুন।
প্রভুর অনুগ্রহলাভে হৃষ্টচিত্ত, পরস্পর সহায়ক, নিজের প্রাণ পরিত্যাগে
কৃতসঙ্কল্প, সৎকুলজাত সম্মানিত সৈন্য শত্রুর শক্তি জেনে জয়লাভ করেন’।
যে আত্মপরভেদজ্ঞানে মূঢ়, উগ্র, কৃতঘ্ন, স্বার্থপর, সে বিদ্বান হলেও কি
অন্যদ্বারা পরিত্যজ্য নয়?
সত্যনিষ্ঠা, পুরুষকার ও সৎপাত্রে দান এই তিনটি গুণ রাজাদের উৎকর্ষসাধকে ধর্ম। এই গুণ ছাড়া রাজা নিশ্চিত নিন্দাভাজন হন।
কাজেই মহারাজ মন্ত্রীদের পুরস্কার দিন। কারণ—
পুরস্কারহেতু যে মানুষ যার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত, সে তার উন্নতিতে উন্নত, বিপদে
বিপন্ন হয়, সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে ধন ও প্রাণরক্ষায় নিযুক্ত করা উচিত।
মহারাজ, শঠ, নারী ও বালক যার মন্ত্রণাদাতা হয়, সে কর্তব্যকর্ম থেকে ভ্রষ্ট হয়ে
দুষ্কর্মের সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়।
যে রাজার হর্ষ ক্রোধ সংযত ও ধনাগার পরিমিত ব্যয় নিয়মিত, ভৃত্যদের প্রতি
সুখ-দুঃখ বিধানে সর্বদা তৎপর, পৃথিবী তার কাছে রত্নপ্রসবিনী হন।
রাজার সঙ্গে যেসব অমাত্যের উন্নতি-অবনতি নিশ্চিত জড়িত, রাজনীতিকুশল সেই রাজা
কখনও সেই সমসুখদুঃখ ত্যাগী, ধনগর্বিত, বিবেকহীন রাজা নীতিবিহর্গিত কাজে নিমজ্জিত
হলেও সুপণ্ডিত সদুপদেশ দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এমন সময় মেঘবর্ণ নামে এক সেনাপতি এসে রাজাকে বলল, ‘প্রভু, বিপক্ষের সৈন্য এসে
দুর্গদ্বার আক্রমণ করেছে। আমি আপনার আদেশ নিয়ে বিপক্ষের সৈন্যমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
তাতে প্রভুর নিকট আমি ঋণমুক্ত হব। আমি যাই, প্রভু’।
চক্রবাক বলল, ‘যাও, যাও শিগগির যাও’।
কাক বলল, ‘প্রভু, আপনিও আসুন। যুদ্ধ দেখুন’।
তারপর তারা সকলে মিলে গিয়ে তুমুল যুদ্ধ করল।
এদিকে তারপর দিন রাজা চিত্রবর্ণ তার মন্ত্রী শকুনিকে বলল, ‘এখন আপনি আপনার
প্রতিজ্ঞা রক্ষা করুন’।
শকুনি বলল, ‘মহারাজ, ভয় নেই—
দীর্ঘকাল সহ্য করতে অক্ষম, অদুর নীতিজ্ঞানহীন, পানাদি আসক্ত সেনাধক্ষ অরক্ষিত
ভীরু সৈন্য যাদের দুর্গ বিপত্তি বলা হয়, তারা কেউ এখানে নেই। তবে আমাদের এখন
দুর্গমদ্যস্থিত সৈন্যের মধ্যে ভেদ সৃষ্টি অবরোধ, সহসা আক্রমণ, তীব্র পৌরুষের সঙ্গে
সাহস প্রদর্শন করতে হবে। এই চারটিই হল দুর্গ অধিকার করবার উপায়।
চিত্রবর্ণ বলল, ‘বেশ তাই হোক’।
তারপর সেই রাত্রিতেই দুর্গের চারটি দ্বারেই লেগে গেল প্রচণ্ড যুদ্ধ। এদিকে কাক
করেছে কি, এই অবসরে দুর্গের প্রতিটি ঘরেই এক-একটা মশাল ফেলে দিয়ে চিৎকার করতে
লাগল, ‘দুর্গ অধিকৃত হয়ে গেছে, দুর্গ অধিকৃত হয়ে গেছে’।
এই চিৎকার শুনে রাজা হিরণ্যগর্ভের পাত্র-মিত্র-সভাপদ ও সৈন্যরা গেল ঘাবড়ে। আর
ঘাবড়াবে নাই বা কেন? সব ঘরে আগুন জ্বললে আর সৈন্যদের চিৎকারে কেইবা ভয় না পায়? তাই
তারা সকলে মিলে দুদ্দাড় করে গিয়ে পড়ল দুর্গের সামনের জলে। কিন্তু সেনাপতি সারসকে
চিত্রবর্গের মুরগি এসে ধরল ক্ষেপে। হায়, হায়, করে উঠল রাজা হিরণ্যগর্ভ। বলল,
‘সেনাপতি সারস, যে ভাবেই হোক তুমি পালাও। আমি যেতে পারছি না, কিন্তু তুমি নিজেকে
বাঁচাও। আমার ছেলে চূড়ামণিকে সবার অনুমতি নিয়ে রাজা করো’।
‘না না, প্রভু’। চিৎকার করে উঠল সারস যুদ্ধ করতে করতে এমন কথা বলবেন না। যতক্ষণ
আমার প্রাণ আছে ততক্ষণ আমি তা হতে দেব না’।
ক্ষমাশীল, দানশীল ও গুণগ্রাহী প্রভু পুণ্যবলেই লাভ করা যায়’।
রাজা বললেন, ‘কিন্তু বিশুদ্ধ স্বভাব, কর্মকুশল, অনুরক্ত ভৃত্যও তো দুর্লভ’।
সারস বলল, ‘মহারাজ, যুদ্ধ পরিত্যাগ করলে যদি মৃত্যুভয় না থাকে তাহলে সমরস্থান
পরিত্যাগ করে অন্যস্থানে যাওয়াই উচিত। মৃত্যু যদি অবশ্যই ঘটে তবে বৃথা যশকে কলুষিত
করছেন কেন?
প্রভু, আপনিও তো সর্বপ্রকারে রক্ষণীয়।
রাজা, মন্ত্রী, রাজ্য, দুর্গ, ধনাগার, সৈন্য, মিত্রভাবাপন্ন রাজা ও নগরবাসীগণ
রাজ্যের অঙ্গস্বরূপ।
অমাত্যরা সমৃদ্ধশালী হলেও রাজাকে পরিত্যাগ করে বাস করতে পারেন না—যেমন মৃত্যু
যার সন্নিকট, ধন্বন্তরী হলেও তার কি করবেন?’
ঠিক এই সময়ে এক ফাঁকে সেই মুরগি এসে রাজাকে চেপে ধরে ঠোকরাতে লাগল। তা দেখে
সারস ছুটে এসে তার নিজের পাখা দিয়ে রাজাকে আচ্ছাদিত করে রক্ষা করতে লাগল।
মুরগিও তো কম যায় না। সে তখন রাজাকে ছেড়ে ধরল সারসকে। সারসও কম যায় না। সেও
তখন ঠোকরাতে লাগল মুরগিকে। এতক্ষণ যুদ্ধ করে মুরগিটা হয়ে গিয়েছিল পরিশ্রান্ত। সে
আর সারসের সঙ্গে পারল না। সারস ঠোকরাতে ঠোকরাতে তাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলল। তা দেখে
অন্যেরা ছুটে এসে সারসকে ঘিরে ধরে ঠোকরাতে ঠোকরাতে ধরাশায়ী করে ফেলল। জয় হল রাজা
চিত্রবর্ণের।
তারপর রাজা চিত্রবর্ণ দুর্গে ঢুকে দুর্গের সব জিনিসপত্র তছনছ করে জয়ধ্বনি করে
ফিরে গেল শিবিরে।
এই কথা বলে গুরুদেব যেই চুপ করলেন, রাজপুত্রেরা সবাই বলে উঠল, ‘তাহলে গুরুদেব
সারসই তো পূণ্যবান। সে-ই তো নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে প্রভুর জীবন রক্ষা করেছে’।
গুরুদেব বললেন, ‘হ্যাঁ, তা ঠিক। কথায়ই তো আছে—
যে কোন দেশে বীরপুরুষ যদি শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে যুদ্ধে পরান্মুখ না হয়ে
প্রাণত্যাগ করে তবে সে অক্ষয় স্বর্গলাভ করে।
যাক, যুদ্ধ ‘বিগ্রহ’ কেমন লেগেছে বল?’
‘অত্যন্ত সুন্দর গুরুদেব’। চেঁচিয়ে উঠল রাজপুত্রেরা।
‘বেশ বেশ। তাহলে পরের দিন বলব সন্ধি’। বলে গুরুদেব উঠে গেলেন।
0 Reviews